কুতুবউদ্দিন হিরু :::
আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলদার হোসেন সেলিমের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে সম্পদ উপার্জন ও সম্পদ বিবরনীতে সম্পদ গোপন করার অভিযোগে এনে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এরআগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধের কথা উল্লেখ করে মামলা রুজু করার সুপারিশ করা হয় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দুদকের সুত্রমতে, দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী অনুসন্ধান শেষে মামলা দায়ের করার জন্য এজাহার জমা দেন। মঙ্গলবার রুজু করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে চৌষট্টি লাখ চৌষট্টি হাজার পাঁচশত টাকা মুল্যের সস্পদ গোপন করেছেন। এছাড়া জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করা ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০২ টাকা মুল্যের সম্পদ উপার্জনের বিষয়ে দুদকের জিজ্ঞেসাবাদে তিনি কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন নি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী বলেন, অনুসন্ধানে দিলদার আহমেদ সেলিমের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ‘
যাচাইকারী কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার মনি পর্যালোচনা করে দেখেন, দিলদার আহমেদ সেলিম ২০১৮ সালের ২৮ শে জুন সম্পদ বিবরণী জমা দেন। দুদকে জমা দেয়া সম্পদ বিবরণীতে তিনি নয় কোটি দুই লাখ আটত্রিশ হাজার তিনশত বাষট্টি টাকার স্থাবর ও উনআশি কোটি চুরাশি লাখ চৌদ্দ হাজার নয়শত আটত্রিশ অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিবরণী যাচাই করে দেখা যায় দিলদার আহমেদ সেলিমের প্রকৃত স্থাবর সম্পদ নয় কোটি সাতষট্টি লাখ দুই হাজার আটশত বাষট্টি টাকা (৯,৬৭,০২,৮৬২) এবং অস্থাবর সম্পদের উনআশি কোটি চুরাশি লাখ চৌদ্দ হাজার নয়শত আটত্রিশ টাকা (৮৯,৮৪,১৪,৯৩৮)।
তদন্তকালে দেখা যায়, দিলদার আহমেদ সেলিমের ৮৯ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ৬৪ লাখ ৬৪ হাজার পাঁচশত টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব সম্পদ অর্জন সম্পর্কে কোন শুধু উত্তর দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১০ ই অক্টোবর আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালংকার মজুতের অভিযোগে দায়ের করা মানি লন্ডারিং আইনের দুই মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করেছিলো আদালত।