নিজস্ব প্রতিবেদক :::
বিএনপি -জামাতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে সারাদেশে দুরপাল্লার গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। ঢাকা শহরে শহর এলাকার গাড়ি চলাচল করলেও সকাল থেকে দুরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
অবরোধকে ঘিরে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্য আতঙ্ক তৈরি হয়েছে । আর সেই আতঙ্কে সড়কে বাস নামাতে ভয় পাচ্ছেন পরিবহন মালিকরা। যদিও অবরোধে সড়কে বাস নামাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন মালিক সমিতির নেতারা। কিন্তু অতীতের ঘটনা মনে করে সড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন নামাননি তারা। শঙ্কা ও আতঙ্কের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়েছেন গণপরিবহন মালিকরা। সমিতির নেতারা গাড়ি চালানোর কথা জানালেও অবরোধ শুরুর সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বেশিরভাগ পরিবহন।
সকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড ও কুমিল্লায় পিকেটিং করেছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। এসময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করার খবর পাওয়া গেছে। অবরোধের সমর্থনে সিলেট শহরে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেছে বিএনপি।
এছাড়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি’র মিছিলে পুলিশের গুলিতে দু’জন নিহত হয়েছেন।নিহতরা হলেন ছয়সুতি ইউনিয়ন কৃষক দল সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩০) ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শেফায়েত উল্লাহ (২০)।
মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম ঘটনাস্থল থেকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য উঠানামায় কোন প্রভাব পড়ে নি বাদি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে, সকাল থেকে বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল একেবারেই সীমিত। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে বিএনপি টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি। এই অবরোধকে ঘিরে পরিবহন মালিক সমিতি দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকার কথা জানালেও মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। রাজধানীর সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে অধিকাংশ দূরপাল্লার বাসই তাদের ট্রিপ বাতিল করেছেন। তবে দুয়েকটি পরিবহন অল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়েই টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে, যা অন্যান্য দিনের তুলনায় নেহায়েতই কম।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যে পরিবহনে চাকরি করে নিজের এবং পরিবারের ভরণ পোষণ চলে সেটিতে যেন কোনোধরনের সমস্যা না হয় সেরকম একটা আশঙ্কা থেকেই দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে অনেকেই গাড়ি বের করেনি আর যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কম। কারণ গাড়িতে আগুন কিংবা ভাঙচুর এর ঘটনা ঘটলে একদিকে যেমন জীবনের একটি শঙ্কা থাকে সেরকম কিছু ঘটলে চাকরি ও হারাতে হয় বসে থাকতে হয় বেকার হয়ে।