25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

জলাবদ্ধতামুক্তিতে বিনা মূল্যে জমি দিলেন দুই কৃষক

আরও পড়ুন

আল আমিন,নাটোর প্রতিনিধি :::

প্রতি বছর বর্ষা এলেই নাটোরের বড়াইগ্রাম, লালপুর এবং পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছয়টি মৌজার প্রায় দুই হাজার একর ফসলি জমি ও পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে থাকে। পানি নামার কোন ব্যবস্থা না থাকায় পুরো এলাকায়  জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। সেই জলবদ্ধতা নিরসনে বিনামূল্যে  দুই কৃষকের দেওয়া জমির উপর দিয়ে খাল খননের মাধ্যমে এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন এলাকার মানুষ।

গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই কর্মযজ্ঞ আজ রোববার শেষ হবে। এতে হাসি ফুটেছে হাজারো কৃষকের মুখে।

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাত হলেই বড়াইগ্রামের দৌলতপুর ও কচুয়া, লালপুরের মহেশ্বর, টিটিয়া, মাঝগাঁও এবং ঈশ্বরদীর সুন্দরবাড়ি মৌজার দুই হাজার একর ফসলি জমি ও পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যেত। মাত্র ৪০০ মিটার খাল খনন করা হলেই এসব পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব ছিল। তবে এ জন্য খাসজমির পাশাপাশি দৌলতপুরের শামসুল ইসলামের দেড় বিঘা ও ইসমাইল হোসেনের বাড়ির ভিটার দুই শতক জমির প্রয়োজন ছিল। সম্প্রতি অতি বৃষ্টিতে এলাকাটি আবারও পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সমস্যাটি তুলে ধরেন।

খবর পেয়ে ইউএনও আবু রাসেল ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি শামসুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। জনস্বার্থে তাঁদের কিছু জমিতে খাল খননের অনুমতি চান। এতে সম্মত হন ওই দুই ব্যক্তি। পরে ইউএনও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরামর্শ করে শুক্রবার থেকে দুই মিটার প্রশস্ত ৪০০ মিটার দীর্ঘ খালটির খনন শুরু করেন। প্রশাসনের খরচে এক্সকাভেটর মেশিন দিয়ে দিন-রাত খালটি খননের কাজ চলছে। আজ রোববার খাল খনন শেষ হবে।এর ফলে জলবদ্ধতা নিরসন সহ এই এলাকায়  কৃষিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটবে।

এইবাংলা/ প্রিন্স আচার্য্য/ সিপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর