জকিগঞ্জের (সিলেট) প্রতিনিধি:::
জকিগঞ্জের উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজনীন সুলতানার নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল রবিবার সরেজমিন তদন্ত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মহিউদ্দিন আহমদ তালুকদার। এ সময় তিনি উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ বিশিষ্টজনদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।
উপজেলার ফুলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী শিক্ষা কর্মকর্তা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি করে কেউ প্রমাণপত্র রাখে না। অভিযোগ প্রমান করতে হলে তার অধিনস্থ শিক্ষকদের স্বাক্ষী প্রমাণ নিতে হবে। স্বপদে বহাল রেখে তদন্ত হলে, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভূক্তভোগী শিক্ষকরা কেউ কথা বলতে সাহস পাবে না। সোনাসার গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর আহমদ চিশতীর ছেলে ব্যবসায়ী এনামুল হাসিন চিশতী ২০২২ সালের ৩১ জুলাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানার বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, শিক্ষকদের বদলী বাণিজ্য, সরকারি অর্থ ছয়নয় এবং অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন।
এছাড়াও এ শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় অনিয়ম, দুর্নীতির সংবাদ ছাপা হয়।এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে হয়রানী করা হচ্ছে।
উপপরিচালক মহিউদ্দিন আহমদ তালুকদার বলেন, আমি স্থানীয়দের মৌখিক ও লিখত বক্তব্য গ্রহণ করেছি। কোন অনিয়ম দুর্নীতি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইবাংলা /নাদিরা শিমু/NS