27.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

“নাটোরে মাদক কেনাবেচার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব,কোপাকুপিতে জখম-৩”

আরও পড়ুন

আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :-

মাদক কেনা-বেচা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে নাটোরে তিন যুবককে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।তাদের দুইজনকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের অদুরে হেমাঙ্গিনী ব্রিজে এবং অপরজনকে হাসপাতালের ভেতরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।তারা হলেন শহরের পশ্চিম কান্দিভিটুয়া এলাকার বাবলুর ছেলে আল আমিন(২৪) ও হাসেমের ছেলে হাবিব(২০)। এ সময় তাদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মমিন(৩৫) নামে আরো একজন আহত হয়। তিনিও পূর্ব কান্দিভিটুয়া এলাকার বাসিন্দা। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মাঝরাতে আল আমিন ও হাবিবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় যুবক জীবনের নেতৃত্বে জনি,হাসানসহ ৫/৭ জন দুই দফায় তাদের উপর হামলা চালায়।

স্থানীয়রা জানান, নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল সংলগ্ন পূর্ব ও পশ্চিম কান্দিভিটুয়া এলাকায় মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারে জীবন ও আল আমিন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ঈদের কিছুদিন পর তাদের মধ্যে মাদক কেনা-বেচার এলাকা ভাগাভাগি নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়।এরই জেরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় আল আমিনকে শহরের হেমাঙ্গিনী ব্রিজের উপর কুপিয়ে আহত করে জীবনসহ ৫/৭ জন।পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জীবন ও তার সহযোগিরা হাসপাতালে ঢুকে জীবনের সাথে থাকা হাবিবকে কুপিয়ে আহত করে।এতে হাবিবের হাতের রগ কেটে যায়।এ সময় দুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, আল আমিনের বাম পায়ে কোপানো হয়েছে। আর হাবিবের এক হাতের রগ কাটা গেছে। তবে মোমিনকে সদর হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আল আমিনের বোন ফাতেমা বলেন, যারা তার ভাইকে কুপিয়েছে তারা এলাকায় মাদক বিক্রি করে।বাধা দিলে তার ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে জীবন,জনিসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে।তাই তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদরে চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, হামলাকারীরা যাদের উপর হামলা করা হয়েছে তারা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে নাটোরে পরিচিত।সদর হাসপাতালের পেছনের বস্তি থেকে তারা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। এতদিন কেন তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়েনি এটা আশ্চর্যের বিষয়। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহমেদ বুধবার সকালে জানান, দুই গ্রুপের অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।দোষীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।তবে অভ্যন্তরীন কোন্দলের নেপথ্যে মাদক না এলাকার আধিপত্য, তা তদন্তের পর বলা যাবে।

এইবাংলা /নাদিরা শিমু/ NS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর