চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন মেয়ে হারানো মিঠুন-আরতি দম্পতির হাতে ব্যক্তিগত অনুদান তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
রোববার (১৬ জুলাই) তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে যান পাথরঘাটার সেবক কলোনির বাসায়। এ সময় মেয়র পরিবারটির হাতে অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেন।
কলোনির বাসিন্দারা সেবকদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে মেয়রকে জানালে, তিনি তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন।
আরতি-মিঠুন দম্পতিকে সান্ত্বনা জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনারা তিন সন্তানকে হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। সন্তানদের এমন চলে যাওয়া কোনো বাবা-মায়ের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এত বড় বেদনা আর হতে পারে না। মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদের এই শোক সইবার শক্তি ও ধৈর্য দিক।
সেবকদের জন্য বান্ডেল কলোনিতে তিনটি বহুতল ভবনের কাজ পরিদর্শন করে মেয়র বলেন, সেবকদের নিরাপদ জীবন উপহার দিতে এই প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যে সেবকরা দিন-রাত শ্রম দেন তাদের জীবনকে সুন্দর করতে আমি সচেষ্ট আছি। পুরো সেবক কলোনিতে কোন ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বিদ্যুৎ বা গ্যাসের সংযোগ আছে কি না তা পরীক্ষা করে অপসারণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম, রাজনীতিবিদ ও প্রাবন্ধিক ড. মাসুম চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ মো. হাশেম।
জানা গেছে, পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে থাকতেন চসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মিঠুন দাস ও আরতি দাস। গত ২০ জুন সকালে রান্নার চুলার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয় এ দম্পতির চার মেয়ে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর ১২ জুলাই সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যান তৃতীয় মেয়ে ছয় বছর বয়সী হ্যাপি দাশ।
এইবাংলা / নাদিরা শিমু