:::নিজস্ব প্রতিবেদক::::
চট্টগ্রামে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী টিসিবি’র সয়াবিন তৈল খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে সল্প মূল্যে বিক্রি না করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজীদ বোস্তামী থানাধীন বিসিএসআইআর গবেষনাগার এর বিপরীত পার্শ্বে কালাম স্টোরে অবৈধভাবে টিসিবি‘র পণ্য মজুদ করে রাখার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় র্যাব-৭।
অভিযানে মোঃ খোরশেদ আলম (৪০), আব্দুল সালাম (৪৭), মোঃ নয়ন (২২), আল হাদীস (২৪) নামের চার ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আসামী মোঃ খোরশেদ আলম (৪০) লক্ষীপুর সদরের ধর্মপুরের আবুল কালামের ছেলে। আব্দুল সালাম (৪৭), চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটের মৃত ইলিয়াছের ছেলে। এছাড়া মোঃ নয়ন (২২), চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটের আব্দুল ছালামের পুত্র। অন্য আসামী আল হাদীস (২৪) চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাগরুইল ইউনিয়নের মোঃ এনামুলের ছেলে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে দোকানের ভিতর থেকে টিসিবি লোগোযুক্ত দুই হাজার বায়ান্না লিটার ( ২৫৫২ লিটার) সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় তারা দীর্ঘদিন যাবৎ টিসিবি’র পন্য সংগ্রহ করতঃ অবৈধভাবে বর্ণিত দোকানে মজুদ রেখে টিসিবি’র লোগো সম্বলিত সয়াবিন তৈলের বোতলে অন্য তৈলের লোগো লাগিয়ে বিক্রয় করে আসছে।
উল্লেখ্য যে, সরকার কর্তৃক ভর্তুকি মূল্যে যেখানে টিসিবি’র সয়াবিন তৈল ১০০ টাকা দামে খোলা বাজারে ভোক্তাদের মাঝে বিক্রয়ের কথা থাকলেও আটককৃত অসাধু ব্যবসায়ীরা তা না করে তারা নিজেদের ভাড়াকৃত দোকানে অবৈধভাবে মজুদ করে পরবর্তীতে কালোবাজারের মাধ্যমে অন্যান্য সাধারণ পণ্যের ন্যায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছিল। ফলে সাধারণ ভোক্তারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পায় না। ভবিষ্যতেও এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে র্যাব সূত্রে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামী এবং জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এইবাংলা/ তুহিন