25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

তুরস্কে ভূমিকম্প: নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উদ্ধার

আরও পড়ুন

ন্যাশনাল ডেস্ক ::

তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিখোঁজ থাকা সেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গোলাম সাঈদ রিংকুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হলো। বর্তমানে তিনি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের খাহরামানমারাস শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নুর আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আপ্রাণ প্রচেষ্টার পর উদ্ধারকর্মীরা যখন রিংকুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন, তখন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ওই অঞ্চলে আটকে পড়া সব বাংলাদেশির বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। অঞ্চলটিতে প্রায় ৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। যাদের কেউ সেখানে ব্যবসা করেন। আবার কেউ এনজিওতে চাকরি করেন।

এর আগে ভূমিকম্পের পর নুর আলম নামে নিখোঁজ থাকা অপর এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। তিনিও স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, গোলাম সাঈদ রিংকু তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কয়েক বছর আগে উচ্চশিক্ষা নিতে তুরস্কে যান তিনি। সোমবার ভোরে ভূমিকম্পের পর তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবার।

সাঈদ তুরস্কের খাহরামানমারাস প্রদেশের আজাজ শহরে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দেনাই গ্রামে। তার বাবার নাম গোলাম রাব্বানি। কয়েকবছর আগে উচ্চশিক্ষা নিতে তুরস্কে যান রিংকু।

সেখানকার একটি ভবনে দুইজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নুরে আলম ও মো. রিংকু থাকতেন। ভূমিকম্পে তাদের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেই ভবন থেকে নুরে আলম বের হতে পারলেও খোঁজ মিলছিল না রিংকুর।

উল্লেখ্য, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এখন পর্যন্ত মৃত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।তুরস্কে ৫ হাজার ৬০৬টি স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে বহুতল আবাসিক ভবনগুলো ছিল মানুষে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া আলেপ্পোতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন ভবন ধসের কথা জানিয়েছে সিরিয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর