::: বিশেষ প্রতিনিধি :::
সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা প্রক্রিয়া জোরালো হচ্ছে। ঈদের পর পরই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে কূটনীতিক সুত্র। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। প্রতিনিধিদলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক এসিস্টেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র নামও রয়েছে।
কূটনীতিক সুত্র জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি চুড়ান্ত করতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করবেন। এছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন প্রতিনিধি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে মানবাধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের সুফল নিয়ে আলোচনা করবে প্রতিনিধিদল। এ কারণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে মার্কিন প্রতিনিধি দলের এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সফরে প্রতিনিধিদল কী বার্তা দিতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে।
সূত্রের দাবি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, মানবাধিকার এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয় প্রতিনিধি দলের সফরে গুরুত্ব পাবে। সফরের সুনির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ না করা হলেও মধ্য জুলাইয়ে এটি অনুষ্ঠিত হবে এমনটা ধরে নিয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে নাক গলাচ্ছে এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে নানা রকম কথাবার্তা চলছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে এখন সমালোচনামুখর হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করছেন। কূটনৈতিক মহল মনে করছেন যে, নানা কারণে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই চাপে রাখার কারণ ইন্দো-প্যাসিফিক জোটে যোগদানকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে গত জানুয়ারিতে ঢাকা সফর করেন মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
দুইদিনের ওই সফরে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ডনাল্ড লু’র সফরের ফলোআপ হিসেবেই উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরটি হচ্ছে।