বর্তমানে সারাদেশের অনেক তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সিলেট শহরে তরুন-তরুনীরা এক্ষেত্রে অনেকখানি পিছিয়ে রয়েছে। নতুন প্রজন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারলে ফ্রিল্যান্সার পেশায় টিকে থাকা যাবে না। নতুন মেয়রের কাছে প্রত্যাশা তিনি দক্ষতা উন্নয়নে ইনস্টিটিউট গড়ে তুলবেন এবং ফ্রিল্যান্সারদের নতুন বাজার খোঁজার ওপর জোর দেবেন। দেশের সাইবার জগতের নিরাপত্তায় ইথিক্যাল হ্যাকার তৈরির করার মতো বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছি শুধু মাত্র কেমন জনপ্রতিনিধি জনসাধারণ নির্বাচিত করে সেটি দেখার জন্য। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এবার সিলেট থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। তরুণ এই নেতার নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। যুক্তরাজ্যে বসবাস করলেও সিলেটের সাথে আমাদের নাড়ির টান রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। আমার শহর সিলেটে প্রযুক্তিখাতের কোন শিল্প উদ্যোক্তা বা এই প্রযুক্তি খাতে কোনো বড় বিনিয়োগ নেই বলেই বিদেশের মতো একটি জায়গায় বৈদেশিক প্রতিষ্ঠান সাথে কাজ করতে হচ্ছে।
আজ ভোটের মাধ্যমে যে প্রার্থীই মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন তাঁর কাছে আমার প্রস্তাব থাকবে, যুক্তরাজ্যসহ উন্নত দেশে অসংখ্য তরুণ-তরুণী বিভিন্ন সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বৃটেনের বিভিন্ন সৃষ্টিকাল ছিল আমাদের অসংখ্য তরুণ তরুণী গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। উন্নয়ন পরিকল্পনা, নকশা প্রণয়ন, প্রজেক্ট বাস্তবায়ন, প্রযুক্তি নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ত করা গেলে আগামীর সিলেট হবে একটি স্মার্ট শহর।
এছাড়া নগরবাসীকে সহজভাবে কার্যকর পরিসেবা দেবার ব্যবস্থা নেবেন নতুন নির্বাচিত মেয়র – এটিই আমার প্রত্যাশা।
সৈয়দ মকবুবুল হক, সিনিয়র তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবস্থাপক, লিগ্যাল এন্ড জেনারেল গ্রুপ, যুক্তরাজ্য