::: মোঃ আলমগীর, টেকনাফ :::
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,শুক্রবার (১৬-জুন) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ১.৫ কিলোমিটার উত্তর দিকে আশিকানিয়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর হতে উপ-অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল এবং সাবরাং বিওপি হতে একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণ মাঠের আইলের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল ৩ জন ব্যক্তিকে বস্তা মাথায় নিয়ে নাফনদী পার হয়ে সীমান্তের শূণ্য লাইন হতে আনুমানিক ৫০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশিকানিয়া লবন মাঠের দিকে আসতে দেখে।
উক্ত ব্যক্তিদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের মাথায় থাকা বস্তাগুলো ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত পার্শ্ববর্তী কেওড়া বাগানের ভিতর পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পোঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে ৩টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বস্তার ভিতর থেকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে অন্য কোন অসামরিক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি বিধায় চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
এইবাংলা/ হিমেল