নিজস্ব প্রতিবেদক ::
চট্টগ্রামের আউটার স্টেডিয়ামে যুবদলের তারুণের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কাজির দেউড়ী মোড়ে সমাবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন। ফলে দুটি লরির উপর মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি নেয় যুবদল। ব্যস্ততম কাজীর দেউড়ি মোড়েই শুরু হয়েছে এই সমাবেশ।
বেলা দুইটার দিকে উত্তর জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিশাল বহর সমাবেশস্থলে আসে। এরপর চকবাজার, বাকলিয়া থানার মিছিল এসে জড়ো হয় কাজির দেউড়ীতে। বেলা তিনটার আগেই স্টেডিয়াম থেকে জুবলী রোড পর্যন্ত সড়ক যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলে।
বুধবার (১৪ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রামের বাইরের জেলা উপজেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করে। তারা কাজীর দেউড়ি মোড়ের চারিদিকে জড়ো হতে থাকেন। বিশেষ করে সিআরবি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে, জমিয়তুল ফালাহ, আলমাস সিনেমার মোড়, ভিআইপি টাওয়ার এলাকায় জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পরপরই মঙ্গলবার রাত থেকেই কাজীর দেউড়ি মোড়ে অবস্থান নেয় দলের নেতাকর্মীরা। তরুণ ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অন্যান্য দাবিতে চট্টগ্রামে ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ এর ডাক দেয় যুবদল। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন ।
মাথায় ক্যাপ, গায়ে বিভিন্ন স্লোগান লেখা টি-শার্ট পরে কাজির দেউড়ী এলাকায় আসেন হুম্মাম কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা । নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, সরকারের পদত্যাগ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমানোর দাবি সম্বলিত ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। মূলত তারুণের সমাবেশ ঘোষণা দিলেও সব বয়সী নেতাকর্মীদের দেখা গেছে সমাবেশস্থলে।
এর আগে সকাল থেকে পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকা। কাজীর দেউড়ি মোড়ের সার্কিট হাউজ লাগোয়া স্থানে দুটি কনটেইনার বহনকারী লরিতে তৈরি করা হচ্ছে সমাবশের মঞ্চ। পাশেই সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএনপির এ সমাবেশকে ঘিরে কাজীর দেউড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ও নাশকতা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।