::: আন্তর্জাতিক ডেস্ক :::
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন।নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে তুরস্কে রানঅফ ভোট শেষ হয়েছে। প্রাথমিক ভোটে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান জয়লাভ করেছেন।গত ২০ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করছেন এরদোয়ান। তার নেতৃত্বে দেশটি ক্রমাগত কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে হেঁটেছে। তার বৈদেশিক নীতি পেশীবহুল এবং তিনি একরোখা ভাবে অপ্রচলিত উপায়ে দেশের অর্থনীতি পরিচালনা করে গেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ মে) রাতে ভোট গণনার পর বেসরকারি ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। ৮৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট গণনার পর এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৫৩ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ ভোট। শুরুতে ব্যবধান আরও বেশি থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
আনাদোলু বলছে, ৯৭ শতাংশ ব্যালট বাক্স গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এই গণনায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
প্রাথমিক ভোটে তৃতীয় স্থান পাওয়া সিনান ওগান সরাসরি এরদোয়ানের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেন। ওগান ৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।পুরো বিশ্বের মত তুরস্ককেও রেকর্ড মূল্যস্ফীতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। বরং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় সেখানে পরিস্থিতি নাজুক। তার উপর ভোটের তিন মাস আগে হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প, যা অর্ধলক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ভূমিকম্পের পর উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় যথাযথভাবে সাড়া দিতে না পারার জন্য দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার শিকার হতে হয় এরদোয়ান সরকারকে। তারা নিজেরাও তাৎক্ষণিক সাড়ায় দেরি করে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন।
ফলে ভোটের আগের জনমত জরিপগুলো ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ানের পরাজয়ের ইঙ্গিতই দিয়েছিল।
কিন্তু গত ১৪ মের ভোটে সেই হিসাব পাল্টে গেছে। প্রাথমিক ভোটে তিনি মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিরিচতারোলুর থেকে প্রায় ৫ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। তবে অল্পের জন্য রানঅফ এড়াতে প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হন।
সেবার এরদোয়ান ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলন। ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন দেশটির তরুণ ভোটাদের পছন্দের প্রার্থী কিরিচতারোলু।তুরস্কের নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত কার হাতে যাচ্ছে তা দেখতে শুধু তুর্কীরাই নয় বরং পুরো আন্তর্জাতিক অঙ্গন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল।
কারণ, বিশ্বের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে তুরস্ক।
এইবাংলা/ হিমেল