Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img
Homeজাতীয়উত্তরবঙ্গ ভাসে, ইন্টেরিম হাসে; স্লোগানে উত্তাল ইবি

উত্তরবঙ্গ ভাসে, ইন্টেরিম হাসে; স্লোগানে উত্তাল ইবি

মাহফুজুল হক পিয়াস, ইবি :

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘উত্তরবঙ্গ ভাসে, ইন্টেরিম হাসে’সহ নানা স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। এসময় রংপুর বিভাগের আটটি জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির ইবি শিক্ষার্থীসহ অন্যরা অংশগ্রহণ করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যেই এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার দাবি জানান তারা।

দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মশাল মিছিল বের করেন। পরে এটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘জাগো বাহে, কোনটে সবায়’,’ উত্তরবঙ্গের কান্না, আর না আর না’, ‘উত্তরবঙ্গ ভাসে, ইন্টেরিম হাসে’, ”ভারত যদি বন্ধু হও, ন্যায্য পানির হিস্যা দাও’, ‘চুক্তি নিয়ে টালবাহানা, আর না আর না’, ‘তিস্তা পাড়ের সাথে, ইবিয়ানরা আছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, পঙ্কজ রায়, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি মশিউর রহমানসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, “তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কোনো একদিনের বা এক ব্যক্তির নয়, এটি তিস্তা পাড়ের লক্ষাধিক মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ আন্দোলন। সরকারের অবহেলায় উত্তরবঙ্গ বারবার বঞ্চিত হয়েছে, রংপুরসহ তিস্তাপাড়ের মানুষ আজও বৈষম্যের শিকার। তিস্তাপাড়ের অধিকার আদায়ে নতুন প্রজন্ম রক্ত দিতেও প্রস্তুত।”

ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “বারবার দেখা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পরও উত্তরবঙ্গ রয়ে গেছে অবহেলিত। প্রতিটি বাজেটে রংপুর বিভাগকে বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হতে হয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনমান ও রাজধানী বা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য-এটি স্বাধীন বাংলাদেশে মেনে নেওয়া যায় না।”

তিনি আরও বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনার আওতাভুক্ত কাজগুলো যদি আগামী নভেম্বরের মধ্যে শুরু না হয়, তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। তিস্তা পারের মানুষ দেশের খাদ্যশস্য ভাণ্ডারের বড় অবদান রাখে, তাদের ন্যায্য অধিকার দিতে না পারলে কোনো সরকারই টিকে থাকতে পারবে না।”

এই বাংলা/এমএস

টপিক