চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার বালি আর্কেড থেকে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযানের সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা থানার ওসির (অফিসার ইনচার্জ) সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ পাঠাতে সহায়তা করেন।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
তবে অভিযানের পর চকবাজার থানার ওসি শফিকুল ইসলামের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। তার অভিযোগ, যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ওসি পরবর্তীতে তার কাছেই ভিডিও প্রমাণ চেয়ে বসেন।
অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, ওসি তাকে বলেন, “মোবাইল চেক করে কিছু পাওয়া যায়নি।” কিন্তু অভিযানে অংশ নেওয়া অন্য এক পুলিশ সদস্য জানান, ওসি তখন থানায় উপস্থিতই ছিলেন না, ফলে মোবাইল চেক করার প্রশ্নই ওঠে না।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ কর্মী মো. জুনায়েদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাতকানিয়া উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ব্যারিস্টার আরমানকে চোর’ আখ্যা দিয়ে পোস্ট দেন এবং ‘জুলাই চু’দি’ প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনা বিষয়ে থানার কোনো কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—যদি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রাজনৈতিক প্রভাব বা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত থাকবে? ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় নানা প্রতিক্রিয়া ও নেতিবাচক আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
