অনলাইন প্রতিবেদক :
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ, মাংস ও ডিমের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, সোনালি ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি পাতিহাঁসের দাম ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
এক বিক্রেতা জানান, “গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ব্রয়লারের দাম ছিল ১৮০ টাকার বেশি, এখন তা কমে ১৫৫–১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। তাই খুচরায় আমরা ১৭০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে খাবার ও পরিবহন খরচ না কমলে দাম আর নামার সম্ভাবনা নেই। দেশি ও সোনালি মুরগির দাম দীর্ঘদিন ধরেই একই রয়েছে।”
ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্রয়লার ছাড়া অন্য কোনো মুরগির দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে নেই। একজন ক্রেতা বলেন, “একটা ছোট সোনালি মুরগি কিনতেও ৩৫০ টাকা লাগে। মাসের শেষ দিক, তাই কোনোভাবে খরচ সামলানোর চেষ্টা করছি।”
মিরপুর ও মানিকদীর বাজারে দেখা গেছে, মাছের দামও বেশ চড়া। আকারভেদে রুই মাছ ৩১০–৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০–৪৫০ টাকা, শিং ৫০০–৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, কৈ ২০০–২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০–২০০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০–২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও খামার পর্যায়ে দাম ও পরিবহন ব্যয় না কমায় খুচরা পর্যায়ে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া রাজধানীর বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০–৮০০ টাকা কেজি দরে, আর খাসির মাংস ১,০০০–১,১০০ টাকা। সুপারশপগুলোতে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম দামে—৭৪০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
