বিশেষ প্রতিনিধি :
ছুটির দিনে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সারা দেশ কেঁপে ওঠে শক্তিশালী ভূমিকম্পে। ৫.৭ মাত্রার এ ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদী, যা গত তিন দশকে বাংলাদেশে উৎপত্তি হওয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ভূমিকম্পের তীব্রতায় ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে মোট ৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ।
রাজধানীর বংশালের কসাইটুলী এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে তিন পথচারী নিহত হন। নিহতরা হলেন— রাফিউল ইসলাম (২০) আব্দুর রহিম (৪৮) তার ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)
বংশাল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়ায় একটি মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় কাজম আলী (৭৫) নিহত।গাবতলীতে বাসার দেয়াল ধসে মারা যায় ওমর (১০) নামে এক শিশু। রূপগঞ্জ উপজেলার ইসলামবাগ এলাকায় দেয়াল ধসে ফাতেমা নামে এক বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী— স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসাধীন।ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন। গাজীপুর তাজউদ্দীন মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ১২ জন। নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আহত ৪৫ জন, যাদের মধ্যে ৩ জনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
আরও বিভিন্ন জেলা হাসপাতালে আহতদের নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একাধিক স্থানে ভবন ফাটল, সিঁড়ি ধস ও দেয়াল ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।
দেশব্যাপী প্রাণহানি ও ক্ষতির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি— নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা, আহতদের উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
ভূমিকম্পে যোগাযোগব্যবস্থা, আন্তঃনগর ভবন এবং দোকানপাটে সাময়িক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির সঠিক চিত্র সংগ্রহে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের অগভীর ভূমিকম্প আবারও অনুভূত হতে পারে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
