কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র সোনাহাট স্থলবন্দরে গত ১৪ দিন ধরে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ এই স্থবিরতায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। একই সঙ্গে প্রতিদিনই সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের রপ্তানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতি টন পাথর ৯০০ টাকায় বিক্রি করলেও হঠাৎ করে তারা দাম বাড়িয়ে টনপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধি করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের বাজারে প্রতি টনে পাথরের দাম বরং ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমে গেছে। ফলে বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ে ১৩ নভেম্বর থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রাখেন আমদানিকারকরা।
সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতা মো. আবুল হোসেন বলেন, “আমরা পাথরের দাম প্রতিটন ৯৫০ টাকা নির্ধারণ করেছি। এই দামে না কিনলে আমদানি চালু হবে না।” তিনি আরও জানান, দাম বাড়ায় প্রতি টনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দাবি মানা হলে আগামী রোববার থেকে বন্দরে পাথর আমদানি কার্যক্রম আবার শুরু হতে পারে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
