নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদর থেকে ধরমন্ডল ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভয়াবহ দুর্ঘটনাপ্রবণ ও চলাচল-অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বন্যার পর থেকে সড়কটির পিচ–খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অনেক জায়গায় সড়কটি পরিণত হয়েছে কাঁচা রাস্তার মতো। ফলে লাখাই উপজেলার সাতটি গ্রাম ও ধরমন্ডল ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘাসুরা (কালিগঞ্জ) থেকে বলভদ্র নদী হয়ে লক্ষীপুর পর্যন্ত এই সড়কে প্রতিদিন শত শত যাত্রী, সিএনজি, মালবাহী গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাতের অন্ধকারে বড় গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুই বছর আগে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটি পাকা করলেও অল্প সময়ের মধ্যেই এর পিচ–কার্পেটিং উঠে গিয়ে জায়গায় জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সড়কের এমন নাজুক অবস্থা যে এটি পাকা সড়ক না কাঁচা সড়ক—তা বোঝা কঠিন।
রিপন মিয়া ও সোহেল নামে দুই বাসিন্দা বলেন, “পুরো উপজেলায় এমন খারাপ সড়ক আর নেই। আমরা বহুবার অভিযোগ করেছি, কিন্তু কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিন জানান, সড়কের দুরাবস্থার কারণে তাদের যানবাহন চালাতে হয় বিকল্প পথ দিয়ে। এতে সময় যেমন বেশি লাগে, তেমনি বাড়তি ভাড়াও গুনতে হয়। এতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ভাঙা পথ পেরিয়ে তাদের প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যেতে হয়, ফলে তারা সময়মতো ক্লাসে পৌঁছাতে পারে না। শিক্ষার্থী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, “রাস্তার বেশির ভাগ জায়গা ভেঙে গেছে। স্কুলে যেতে খুবই কষ্ট হয়। দ্রুত রাস্তাটি মেরামত দরকার।”
এ বিষয়ে ধরমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, “দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। তবে এটি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না—সরকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের উদ্যোগ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।”
এলাকাবাসী দ্রুত সড়ক সংস্কারের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
