নাটোর প্রতিনিধি :
চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে নাটোর সুগার মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার ৭৫ কর্মদিবসে মোট এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৬.৩০ শতাংশ।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে মিলের কেইন কেরিয়ার এলাকায় আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে মাড়াই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিএসএফআইসির পরিচালক (বাণিজ্যিক) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (অর্থ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম, জামায়াতের নায়েবে আমীর ইউনুস আলী, নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার ফরিদ হোসেন, নাটোর চিনিকলের এমডি আখলাছুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন, আখ চাষী নেতা মোসলেম উদ্দিনসহ স্থানীয় চাষী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, চিনিকল সচল থাকলে কৃষক ও শ্রমিকদের জীবনমান বজায় থাকে। এ কারণে সরকার এ বছরও আখের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। চাষীরা নিয়মিত আখ সরবরাহ করলে মিলের উৎপাদন আরও বাড়বে।
গত মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াইয়ের। কিন্তু বাস্তবে মাড়াই হয় ১ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ মেট্রিক টন আখ। চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫,১৩০ মেট্রিক টন; উৎপাদন হয় ৬,১৮০.৮০ মেট্রিক টন—অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় এক হাজার টন বেশি। সেই মৌসুমে চিনি আহরণের হার ছিল ৫.৭০ শতাংশ এবং ৭৪ কর্মদিবসে লক্ষ্য পূরণ হয়।
সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মিল জোনের ১,২৮১ জন চাষী ৮,০১০ একর জমিতে আখ চাষ করেছেন। এ বছর প্রতি মণ আখের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখলাছুর রহমান জানান, ভালো ও উচ্চমানের আখ উৎপাদনে চাষীদের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সময়মতো আখ সরবরাহ ও ন্যায্য মূল্য প্রদানের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
