কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর বেহাল অবস্থায় প্রতিদিন হাজারো মানুষকে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বছরের পর বছর অবহেলার কারণে সেতুগুলো প্রায় অচল হয়ে পড়লেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ দীর্ঘদিন ধরে দৃশ্যমান হয়নি।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
ভবানীপুর এলাকার ঐতিহ্যবাহী প্রথম সেতুটি সাত বছর ধরে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিত নদী খননের ফলে সেতুর নিচের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি দেবে গেছে। এতে দৈনন্দিন চলাচল হয়ে উঠেছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই সেতুটির ওপর নির্ভর করে রবিরবাজার, ব্রাহ্মণবাজার, ভবানীপুর, ভাটুথ, মহিষাজুড়ী পাড়া, শ্রীরামপুর, নর্তন পালগ্রাম ও তিলাসিজুরাসহ শতাধিক গ্রামের মানুষ যোগাযোগ রক্ষা করেন। যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের আক্ষেপ—“আমাদের প্রতিদিনের যাতায়াত এই সেতুর ওপর। ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়, কিন্তু সমস্যার সমাধানে কেউ নজর দেয় না।”
দ্বিতীয় সেতুটি লক্ষীপুর এলাকায় ফানাই নদীর ওপর নির্মিত। ২০২২ সালে সেতুটিতে ফাটল ধরে দেবে যায়। বিষয়টি নিয়ে বহুবার সংবাদ প্রকাশ ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এই সেতু দিয়েই স্কুল–কলেজের শত শত শিক্ষার্থীসহ বহু মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হন। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা স্থানীয়দের মাঝে স্থায়ী আতঙ্ক হিসেবে রয়ে গেছে।
স্থানীয়দের ক্ষোভ—“ব্রিজ নষ্ট হলে কষ্ট আমাদেরই। ভোট দিয়ে যারা নির্বাচিত হয়, তারা পরে আর খোঁজখবর নেন না।”
এ অবস্থায় কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহীউদ্দীনের কাছে দ্রুত সংস্কারের আবেদন জানান এলাকাবাসী।
ইউএনও জানান, সেতুগুলো স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন। তিনি বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।
তাঁর বক্তব্য—“স্থানীয়দের আবেদন পেয়েছি। এলজিইডিকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুব দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং সেতুগুলোর সংস্কার কাজও শিগগিরই আরম্ভ হবে।”
এই বাংলা/এমএস
টপিক
