25.6 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

মোখা’র তান্ডব কক্সবাজার ও টেকনাফে, লন্ডভন্ড সেন্টমার্টিন

আরও পড়ুন

::: নেওয়াজ তুহিন :::

ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে মায়ানমারে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি  ঘূর্ণিঝড় মোখা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। সেখানে ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১৪৭ কিলোমিটার। প্রচণ্ড গতির বাতাস নিয়ে রবিবার বিকাল ৩টার দিকে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লন্ডভন্ড হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। ইতিমধ্যেই এই দ্বীপ এলাকায় তিন শতাধিক বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিনের চালাসহ দুর্বল স্থাপনাগুলো ভেঙে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।

ঘুর্ণিঝড় মোখার তান্ডবে কক্সবাজার জেলায় অন্তত ১০ হাজার বাড়ী ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন । এরমধ্যে টেকনাফের সেন্টামার্টিনেই ক্ষতি হয়েছে ১২০০ ঘরবাড়ি।।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান রবিবার (১৪ মে) বিকালে জানান, কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের সেন্টামার্টিনেই ক্ষতি হয়েছে ১২০০ ঘরবাড়ি। তবে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। আরও কোথায় কোথায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা পরবর্তিতে চূড়ান্তভাবে জানানো হবে।

তিনি বলেন, মোখার তাণ্ডব থেমে গেছে । সিগন্যাল কমে এলে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আড়াই লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে পারবেন।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজার ও টেকনাফ উপজেলায়। সেন্ট মার্টিনে এখনো তাণ্ডব চলছে। সেখানে বেলা মোথার কারণে একটার সময় ছিল বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, আড়াইটায় তা বেড়ে ১৪৭ কিলোমিটারে পৌঁছায়। এখনও ভয়ংকরভাবে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।

রবিবার দুপুরে মোখা উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেন্টমার্টিনে বাতাসের গতি অনেক বেশি। অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু বৈরি পরিবেশের কারণে বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ফলে সব খবরাখবর এখনই পাচ্ছি না।

সেন্টমার্টিনের স্থানীয় বাসিন্দা সবুর আহমেদ বলেন, বাতাসের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সমুদ্রের পানিও বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। বিচের ভেজা মাটি তুলে নিচ্ছে। মানুষের ঘর বাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। বড় বড় গাছ ও নারিকেল গাছ দুমড়ে মুচড়ে পড়ছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। পুরো সেন্টমার্টিনে বৃষ্টির পানি ও বাতাসের তীব্রতায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ‘

সন্ধ্যার পর শান্ত হয়ে আসে আবহাওয়া। সমুদ্র টেউয়ের তোড় থাকলেও মোখার প্রলয় তান্ডব কমেছে। আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নেয়া মানুষজনকে সোমবার সকাল থেকে বাড়িঘরে ফেরানোর উদ্দ্যেগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ঝড়ো হাওয়ায় কারণে বেশকিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এইবাংলা /হিমেল

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর