::: নাদিরা শিমু :::
ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ‘মোখা’ মোকাবিলা ও বন্দরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য গতকাল শুক্রবার রাতেই বন্দরের অ্যাডভাইজারি কমিটি জরুরি সভায় বসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক।
বন্দর সচিব আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে জন্য চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা থেকে সকল ধরনের বিদেশি জাহাজ সমূহকে ভোর ৪টার জোয়ারের সময় বহির্নোঙরে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে চারটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
একইসাথে কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে পণ্য খালাস বন্ধ করে দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ এখান দিয়ে সম্পন্ন হয়।
ইতোমধ্যে জেটি ছাড়তে শুরু করেছে বড় জাহাজগুলো। বহির্নোঙরে চলে যাচ্ছে সেগুলো। আর লাইটার জাহাজগুলো কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এইবাংলা /তুহিন