::: আন্তর্জাতিক ডেস্ক :::
আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ইমরান খান গ্রেফতার হবার পর অগ্নিগর্ভে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে তার সমর্থকরা। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে ঢুকে পড়ে এবং লাহোরে একজন উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার বাসায় হামলা চালায়। বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত তিনজন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। বিবিসি উর্দু সার্ভিস জানিয়েছে, পেশাওয়ারে দলে দলে মানুষ রাস্তায় নেমে আসছে প্রতিবাদ করার জন্য।
এদিকে, মামলায় বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে তোলা হয় ইমরান খানকে । পরে, আদালত ইমরান খানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর দ্য ডনের।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই মামলার শুনানি হয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে। গত সোমবার এই স্থানকে আদালতের মর্যাদা দেওয়া হয়। ইমরান খানের মামলার শুনানিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ বশির।
শুনানির শুরুতে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে। তবে, এর বিরোধীতা করেন পিটিআই প্রধানের আইনজীবী খাজা হারিস। আইনজীবী বলেন, ‘আল-কাদির ট্রাস্ট মামলাটি ব্যুরোর পরিধির মধ্যে পড়েনি। এমনকি, এনএবি এখনও তদন্ত প্রতিবেদনও শেয়ার করেনি।’
এইবাংলা/ তুহিন