Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img

সনদকে অর্থবহ করতে জুলাইয়ের অগ্রসেনানীদের সংযুক্ত করতে হবে : মঈন খান

সনদকে অর্থবহ করতে হলে জুলাইয়ের অগ্রসেনানীদের অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ...
Homeআন্তর্জাতিকট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানিতে ধস

ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানিতে ধস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে ভারতের রফতানিতে ধস নেমেছে। গত চার মাসে রফতানি প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। আর সেপ্টেম্বরে তা নেমে এসেছে ২০ শতাংশে।

গত ২৭ আগস্ট ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করে। এর মধ্যে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় দিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপর সেপ্টেম্বর মাসেই শুল্কের পূর্ণ প্রভাব ভারতীয় রফতানিতে দেখা যায়।

দিল্লিভিত্তিক গবেষাণামূলক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই)-এর অজয় শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘শুল্ক বৃদ্ধির পর থেকে ভারতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাজারে পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’

আগামী মাসের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। জিটিআরআই-এর মতে, শুল্কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে বস্ত্র, রত্ন ও অলংকার, প্রকৌশল পণ্য এবং রাসায়নিকের মতো শ্রম নির্ভর খাতগুলোতে। এই খাতগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের চালান টানা চার মাস ধরে হ্রাস পেয়েছে। গত মে মাসে রফতানির পরিমাণ ছিল ৮.৮ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বরে তা ৩৭.৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে। রফতানি হ্রাসের প্রভাব ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিতেও পড়েছে। যা সেপ্টেম্বরে ১৩ মাসের সর্বোচ্চ ৩২.১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনেরমতো দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হ্রাস কিছুটা সামাল দেয়া সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, বেশ কিছু মতপার্থক্যের কারণে কয়েক মাস ধরে স্থবির থাকার পর গত মাসে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে। আলোচনার জন্য একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।

এর আগে, বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ তেল কেনা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ক্রেমলিনের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে।

সূত্র : বিবিসি

এই বাংলা/এমএস

টপিক