বরিশাল প্রতিনিধি :
বরিশাল মহানগরে পুলিশের টহল কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে যানবাহনের অভাবে। কোনো কোনো থানায় পুরো এলাকার দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে একটি মাত্র জিপগাড়িতে। ফলে অপরাধ দমন, মিটিং-মিছিল নিয়ন্ত্রণ, এমনকি রাতের নিয়মিত টহলেও হিমশিম খাচ্ছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বাহিনীর কাছে সরকারি ও অনুদান মিলিয়ে মোট ৮০টি যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১টি এপিসি (জলকামান), ১টি রেকার, ১টি বাস, ১টি ট্রাক, ২৭টি ডাবল কেবিন জিপ ও পিকআপ, ১৭টি অপারেশনাল গাড়ি এবং ৭৭টি মোটরসাইকেল।
তবে এসব যানবাহনের বড় অংশই পুরনো ও বিকল হয়ে পড়েছে। সচল রাখতে অনেক সময় একটি গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে অন্য গাড়ি চালানো হয়।
একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাতভর টহলে বের হতে হয়, কিন্তু গাড়ি পাওয়া যায় না। আগে প্রয়োজনে রিকুইজিশন নেওয়া যেত, এখন সেটাও কঠিন হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে হেঁটেই টহল দিতে হয়।”
বিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. শরফুদ্দীন জানান, “আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সব যানবাহন সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিকল গাড়িগুলো দ্রুত মেরামত চলছে এবং নতুন গাড়ির জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে।”
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসীও। নগরের বাসিন্দা কামরুল হাসান বলেন, “রাতে দুর্ঘটনা বা অপরাধ ঘটলে পুলিশ না এলে মানুষ আতঙ্কে থাকে। টহল গাড়ি না থাকলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যায়।”
বিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও টহল কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে অতিরিক্ত গাড়ির প্রয়োজনীয়তার কথা সদর দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচনের আগে নতুন কিছু যানবাহন পাওয়া যাবে।”
উল্লেখ্য, ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ শুরুতে ছিল এক কোতোয়ালী থানায় সীমাবদ্ধ। বর্তমানে চারটি থানায় (কোতোয়ালী, কাউনিয়া, বন্দর ও বিমানবন্দর) কার্যক্রম পরিচালিত হলেও জনসংখ্যা ও অপরাধ বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি যানবাহন। ফলে পর্যাপ্ত ও সচল টহল পরিবহন এখন বিএমপি’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
