বিশেষ প্রতিনিধি :
বাংলার জলাভূমিতে এখন চোখজুড়ানো দৃশ্য—সবুজ কচুরিপানার মাঝে ফুটে থাকা হাজারো হালকা বেগুনি ফুল। বর্ষা শেষে পুকুর, বিল, দিঘি আর নদীর শান্ত জলে যখন একসঙ্গে এত ফুল ফোটে, তখন পুরো জলাশয় যেন পরিণত হয় এক অপূর্ব ফুলের বাগানে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সবুজ পাতার ওপরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা কচুরিপানার প্রতিটি ফুলেই নীল-বেগুনি দাগ আর মাঝখানে উজ্জ্বল হলুদ বিন্দু, যেন প্রকৃতির তুলির টান। রোদে ঝলমলে পাপড়িগুলো হাওয়ার দোলায় দুলে উঠে সৃষ্টি করছে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা এই ফুলে জলাভূমি এখন পরিণত হয়েছে এক প্রাকৃতিক শিল্পকর্মে।

জলাভূমি জুড়ে কচুরিপানার ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য, প্রকৃতিপ্রেমীদের চোখে লেগেছে মুগ্ধতার ছোঁয়া।
স্থানীয়রা জানান, এ সময়টাতেই কচুরিপানার ফুল ফোটার মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। অনেকেই একে ‘ফুলের উৎসব’ বলে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এখন এই দৃশ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।
যদিও কচুরিপানা অনেক সময় জলাশয়ের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে, মাছের চলাচল ব্যাহত করে, তবুও ফুলের সৌন্দর্য মানুষকে মুগ্ধ করে থমকে দাঁড়াতে বাধ্য করে।
প্রকৃতিবিদদের মতে, কচুরিপানার ফুল কেবল প্রকৃতির শোভা নয়—এটি পরিবেশের স্বাস্থ্য ও আবহাওয়ার পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত বহন করে। তাদের মতে, সঠিক ব্যবস্থাপনায় কচুরিপানা পরিবেশবান্ধব উপাদান হিসেবেও কাজে লাগতে পারে।
সব মিলিয়ে, কচুরিপানার ফুলে মোড়া এই জলাভূমি এখন প্রকৃতির এক মোহনীয় রূপ—যেখানে আলো, জল, হাওয়া আর ফুল মিলে সৃষ্টি করেছে এক অনিন্দ্য সৌন্দর্যের ছোঁয়া।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
