নাটোর প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানুষের ভোটাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে জাতীয়তাবাদের ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন।”
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নাটোর উপশহরে জেলা বিএনপির আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুলু বলেন, “সেদিন ভারতের দালালরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সিপাহি–জনতার আন্দোলনের মুখে তাঁকে মুক্ত করা হয়, আর সেই মুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। যদি সেদিন জিয়া মুক্ত না হতেন, তবে বাংলাদেশ আজ পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতো।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের দায়িত্ব না নিলে বিএনপি নামক জাতীয়তাবাদী দলটি গঠিত হতো না। তাঁর আদর্শেই বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকার ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে। আজ তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও মর্যাদাবান রাষ্ট্র গড়ে তোলা হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ।
বক্তব্য দেন— জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা বিএনপির সদস্য শহীদুল ইসলাম বাচ্চু, সাবিনা ইয়াসমিন ছবি ও নাসিম উদ্দিন নাসিম, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ইমদাদুল হক আল মামুন এবং কাজী শাহ আলম।
অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
