মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসেনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
হামলার সময় গাংনী উপজেলা শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এসময় কয়েক হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী বিক্ষোভে অংশ নেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপির সভাপতি মকবুল হোসেন মেঘলা এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম। বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। ঘোষণায় মেহেরপুর-১ আসনে মাসুদ অরুন এবং মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ ঘোষণার পর থেকেই গাংনীতে উত্তেজনা দেখা দেয়।
মঙ্গলবার সকালে জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। পরে আমজাদ হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে মিছিল বের করলে মিল্টনের অনুসারীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আমজাদ হোসেনের অফিসের সামনে থাকা ১৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়, যার একটি জামায়াত নেতা ও ব্যবসায়ী রুস্তম আলীর বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, আমজাদ হোসেনের সমর্থকরাও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে মিল্টনের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। চেয়ার-টেবিলসহ অফিসের বেশ কিছু আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের পর গাংনী বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একটি টহল দল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
বর্তমানে পুরো গাংনী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
