হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি :
হেমন্তের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে বর্ষণের ফলে নিচু এলাকার ধানক্ষেত ও পেঁয়াজের জমিতে পানি জমে গেছে। এতে পাকা আমন ধানের অনেক আঁটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, ধানের ক্ষেতে পানি জমে থাকার কারণে ধান কেটে বাড়িতে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অনেকের ক্ষেতের ধানের আঁটি পানিতে ডুবে গেলে ক্ষতি হ্রাসের আশা কম। এছাড়া বৃষ্টির কারণে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজের রোপণও বিলম্বিত হয়েছে। নতুন করে জমি প্রস্তুত করতে কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ ও শ্রমের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগরের কৃষক শাজাহান মেম্বার বলেন, “আমি ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি, যার মধ্যে ৩ বিঘা কেটে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে বাকিগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এখন তা বাড়িতে আনা গেলে অর্ধেকই নষ্ট হয়ে যাবে।”
দক্ষিণ গোড়াইল গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম বলেন, “আমি আগাম পেঁয়াজ রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করেছিলাম, কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। প্রায় ১৫ দিন পিছিয়ে গেলাম।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, “চলমান বৃষ্টির কারণে কৃষকদের চাষাবাদে কিছু বিলম্ব ঘটতে পারে। যদি বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। তবে আকাশ শুষ্ক হলে কৃষকরা পুনরায় কাজ শুরু করতে পারবেন। আমরা কৃষকদের সর্বদা পরামর্শ দিচ্ছি।”
স্থানীয় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আকাশ শুষ্ক হলে ধান ও পেঁয়াজের ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে। তবে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে ক্ষতি পূরণ করা কঠিন হবে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
