ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই মাসে সংঘটিত ঘটনাবলীর প্রতিবাদে রবিবার (২ নভেম্বর) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। দুপুর ১:৩০টার দিকে বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের বাইরে শেষ হয়, যেখানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
মিছিলে অংশ নেয় দলের বিভিন্ন সংগ্রামী ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের অংশগ্রহণে পরিবেশ ঘন হয়ে ওঠে নানা তীব্রস্বর স্লোগানে — যেমন “একশন, একশন, ডাইরেক্ট একশন”, “লেগেছে রে, রক্তে আগুন লেগেছে”, “ফেরিওয়ালা যুদ্ধ নয়” ইত্যাদি।
বিক্ষোভে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস।এম. সুইট, সহ-সমন্বয়ক ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদলের নূর উদ্দিন, রাফিজ ও শিবির নেতা রায়হান নেজামীসহ অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
শিবির নেতা রায়হান নেজামী বলেন, “ইবি প্রশাসন কিছু শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে। জুলাইয়ে যে ত্যাগ ও রক্ত দিয়েছে আমাদের ভাইগুলো, তা ম্লান করে দেওয়া যাবে না। বিগত ১৫ বছরে যারা ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নইলে ছাত্রসমাজ নিজে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবে।”
ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে; একই সঙ্গে সিন্ডিকেটে ছাত্রলীগ সভাপতি আরাফাতকে বাদ দিয়ে যে বহিষ্কার কার্যক্রম চালানো হয়েছে, আমরা তা নিন্দা জানাই। যারা দুর্নীতি-অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
এস।এম. সুইট অভিযোগ করেন, “জুলাইয়ে যে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল, তার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে শাস্তি দেওয়া সম্পর্কে প্রশাসন আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। কেবল কিছু নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে; ছাত্রসমাজ চায় পরিপূর্ণ তালিকা ও সঠিক শাস্তি দ্রুত প্রকাশ করা হোক।” তিনি দাবি করেন, এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করা না হলে তারা আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
বিক্ষোভ চলাকালীন সময় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছিল লক্ষ্য করা যায়; তবে কোনো উল্লেখযোগ্য সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
