ইবি প্রতিনিধি :
জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম এবং মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে এই দুই শিক্ষকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেন মার্কেটিং ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— “প্রশাসনের প্রহসন মানি না, বহিষ্কার প্রত্যাহার চাই”, “জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস”, “শিক্ষকদের সম্মান ফিরিয়ে দাও” ইত্যাদি। এ সময় তারা হাতে নানা লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড ধারণ করে প্রশাসনের প্রতি প্রতিবাদ জানান।
মার্কেটিং বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “মাজেদুল স্যার সবসময় সৎ, নিরপেক্ষ ও শিক্ষার্থীবান্ধব। তাঁকে কোনো দুর্নীতি বা অন্যায়ের সঙ্গে কখনও যুক্ত দেখা যায়নি। তাঁকে বরখাস্ত করা অন্যায় এবং আমাদের বিভাগের জন্য এটি বড় ক্ষতি।”
তারা আরও জানান, “আমাদের বিভাগে মাত্র পাঁচজন শিক্ষক। একজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করায় ৫০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি— বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হোক।”
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরাও একই দাবি জানান। তারা বলেন, “শহিদুল ইসলাম স্যার কখনো কোনো আন্দোলন বা মিছিলে অংশ নেননি, কাউকে হুমকি দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বলেন, “তোমাদের বার্তা আমরা শুনেছি। তোমাদের বক্তব্য উপাচার্য স্যারের কাছে তুলে ধরা হবে।” তাঁর আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭১তম সিন্ডিকেট সভায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ শিক্ষক এবং ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
