নীলফামারী প্রতিনিধি :
সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার নিশ্চিত করা ও “নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া” নীতি বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নীলফামারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জেলা শহরের ডিসি মোড়ে নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনপিইউজে)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন। তারা ২১ দফা দাবি সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ন্যায্য দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইয়াসিন মোহাম্মদ সিথুন, সাধারণ সম্পাদক আরেফিনুল ইসলাম এটি সঞ্চালনা করেন।
বক্তব্য রাখেন নীলফামারী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার রহমান বাড্ডা, এনপিইউজের সাধারণ সম্পাদক রিপন ইসলাম শেখ, প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দৈনিক দিনকাল-এর প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, এটিএন নিউজের জেলা প্রতিনিধি মিল্লাদুর রহমান মামুন, সাপ্তাহিক নীলচোখ পত্রিকার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, দৈনিক জনকণ্ঠ-এর স্টাফ রিপোর্টার তহমিন হক ববি, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি হাসান রাব্বি প্রধান, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম সিয়াম, ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন দীর্ঘদিন ঝুলে আছে। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাংবাদিক সমাজ চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। তারা সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ, দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন, সাগর-রুনি হত্যাসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান।
প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার রহমান বাড্ডা বলেন, “সাংবাদিকতা পেশা এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও আর্থিক নিরাপত্তা না থাকলে স্বাধীন সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।”
এনপিইউজে সভাপতি ইয়াসিন মোহাম্মদ সিথুন বলেন, “সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আমরা সরকারের কাছে সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন ও ২১ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানাই। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের ওপর আরোপিত উচ্চ হারে কর কমানো, বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্য পৃথক শ্রম আদালত গঠন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালা আইন বাতিল করতে হবে।
এই বাংলা/এমএস
টপিক
