Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img

ভাঙ্গা–বরিশাল–কুয়াকাটা চার লেন সড়ক প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ শুরু

বরিশাল প্রতিনিধি : দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশিত ভাঙ্গা–বরিশাল–পটুয়াখালী–কুয়াকাটা চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে বড় অগ্রগতি হয়েছে। ইতিমধ্যে বরিশাল অংশে জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে...
Homeসারাদেশবরিশালে গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের পথে, তৈরী হচ্ছে যোগাযোগের নতুন সম্ভাবনা

বরিশালে গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের পথে, তৈরী হচ্ছে যোগাযোগের নতুন সম্ভাবনা

বরিশাল প্রতিনিধি :


বরিশালের দিনারেরপুল–লক্ষ্মীপাশা–দুমকি আঞ্চলিক সড়কে বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ও চরাদী ইউনিয়নের সংযোগস্থল গোমা পয়েন্টে রাঙ্গামাটি নদীর ওপর গোমা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতু ও সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে এম খান গ্রুপ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পরিচালনা করছে।

দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

প্রকল্পটি ২০১৭ সালে অনুমোদিত হয়, শুরুতে ৩ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্য রাখা হয়েছিল। প্রাথমিক বাজেট ছিল ৫৭ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ৪৪ শতাংশ।

এরপর সেতুর উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র আপত্তি দেখা দেয়। তারা জানান, নির্ধারিত ৭.৮৬ মিটার উচ্চতা নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করবে এবং নৌপথ সচল রাখতে অন্তত ১২.২ মিটার উচ্চতা প্রয়োজন। দীর্ঘ সময় সেতুর নির্মাণ কাজ স্থগিত থাকে। পরে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ শেষে সংশোধিত নকশা অনুমোদন করা হয়।

সংশোধিত নকশায় সেতুর উচ্চতা ১২.৪ মিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে নদীর দুটি পিলার ও গার্ডার ডিজাইন পরিবর্তন করা হয় এবং কংক্রিটের পরিবর্তে স্টিলের পাত ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন নকশার কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, যা প্রাথমিক বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বেশি।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানিয়েছেন, সেতুর উচ্চতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের গার্ডার নির্মাণের জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে। দুই পাশে ১.৯ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে সেতুর মূল নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

স্থানীয়রা জানান, গোমা সেতু চালু হলে বাকেরগঞ্জ, দুমকি ও লক্ষ্মীপাশা অঞ্চলের মানুষ সরাসরি সড়কপথে সংযুক্ত হবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের যাতায়াত, বাণিজ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হবে।
বাকেরগঞ্জের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, “সেতু চালু হলে নদী পারাপারের দুর্ভোগ কমবে এবং বরিশাল ও পটুয়াখালীর মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যও গতি পাবে।”

এই বাংলা/এমএস

টপিক