ফাহিম আবেদ, কক্সবাজার প্রতিনিধি
পর্যটন শহর কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোন সংলগ্ন অলিগলিতে গড়ে উঠছে স্পা সেন্টার, উদ্দেশ্য যৌন ব্যবসা পরিচালনা করা। রেল যোগাযোগ চালু হবার কারণে বাড়তি পর্যটন আসছে কক্সবাজারে। একারণে স্পা সেন্টারের ব্যবসাও বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যানার পেস্টুন টাঙিয়ে এসব স্পা সেন্টারের প্রচার- প্রচারণা চলছে প্রকাশ্যে। শরীরের রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় ও পেশিশক্তি সচল রাখতে স্পা অত্যাবশ্যকীয় – এমনসব চমকপ্রদ উক্তির মাধ্যমে কক্সবাজারে আসা পর্যটক ও স্থানীয় ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে অবাধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যখন কোনো ব্যক্তি বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে স্পা করার উদ্দেশ্যে সেন্টারে যায় তখন যৌন উত্তেজনামূলক নানান কথাবার্তা বলে শারীরিক সম্পর্কের জন্য বাধ্য করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা থেকে আগত একজন পর্যটক বলেন, ‘ শরীরের সতেজতা বৃদ্ধির জন্য আমি স্পা’তে গিয়েছিলাম। রিসিপশনে দায়িত্বরত মহিলার সাথে কথাবার্তা বলে যখন আমি রুমে প্রবেশ করি ১০-১৫ মিনিট মতো শরীর ম্যাসাজের পর আমাকে শারীরিক সম্পর্কের অফার করা হয়।’
এইসব বিষয়ে জানতে ব্ল্যাক রোজ স্পা সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সাজুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি শেহনাজ আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে স্পা সেন্টারের জন্য কিছু নীতিমালা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কক্সবাজারের লোকাল মেয়েদের দ্বারা স্পা পরিচালনা করতে হবে। অন্যান্য জেলার কোনো মেয়ে দ্বারা স্পা করা প্রযোজ্য নয়। আরেকটি বিষয় হলো স্পা করার সময় রুমের দরজা বন্ধ করা যাবে না।
সরেজমিনে গিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপির দেয়া তথ্যের সাথে স্পা সেন্টারের কাজের কোনো মিল খোঁজে পাওয়া যায় নি।
এইবাংলা/নাদিরাশিমু.NS