বিশেষ প্রতিনিধি ::
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন। যদিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয় নি। সুত্রমতে, প্রয়াত সাংসদ কাশেম মাস্টারের ছেলে মামুনের মনোনয়ন অনেকটাই চুড়ান্ত।
সীতাকুণ্ড আসনে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান দিদারুল আলম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচনেও নানা টানাপোড়েনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জুটে দিদারুল আলমের। তবে এবার ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বিভিন্ন ইস্যুতে দলের তৃণমূলের সাথে দুরত্ব তৈরি করেছেন ; এমন অভিযোগ আমলে নিয়েছেন দলের সভানেত্রী। সুত্রমতে, অভিযোগ বিবেচনায় এবার দলের টিকেট পাবেন না তিনি।
যদিও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের পক্ষেই ছিলো। এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ক্লিন ইমেজ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেই সাথে পুনরায় মনোনয়ন পেতে গত দুইবারের মতো দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে সখ্যতাকে কাজেও লাগিয়েছেন। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী পরিবারে আত্নীয়তাও করেছেন তিনি। তবে কোন কিছুতেই শেষ রক্ষা হচ্ছে না। সীতাকুণ্ড আসনে মনোনয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে চাচ্ছে না দলের মনোনয়ন বোর্ড। এবার যতি পড়তে যাচ্ছে এই আসনে ।
দলের নির্ভরযোগ্য সুত্রমতে, সীতাকুণ্ড আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম মামুন। আভ্যন্তরীণ কোন্দল ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সুত্রটির দাবি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ভোটের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, সবকিছু প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করবে। মাঠে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে মাথায় রেখে প্রার্থী চুড়ান্ত করবেন তিনি।
গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এস এম আল মামুন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আবুল কাশেমের বড় ছেলে।বিএনপি-জামায়াত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করায় এবং আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এস এম আল মামুন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, পার্শ্ববর্তী আসন মিরসরাইয়ে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রুহেল। স্বন্দ্বীপের আসনে পুনরায় মনোনয়ন পাচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। এছাড়া ফটিকছড়ি আসনে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি’র মনোনয়নও চুড়ান্ত।
২০১৮ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের হাটহাজারী আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হলেও ; দলের উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম এই আসনে এবার মনোনয়ন পেতে পারেন।