25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২১৯ জন

আরও পড়ুন

নাদিরা শিমু, চট্টগ্রাম 

চট্টগ্রামের ১৬ টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২১৯ জন। অনেক প্রার্থীই একাধিক আসনে মনোনয়নের ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কারা পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের টিকেট, সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও চারদিন। 

দলের নীতিনির্ধারনী পর্যায়ের নেতাদের সাথে মনোনয়নের বিষয়ে কথা বলতে চাইলেও কেউই মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে ‘ত্যাগ ও জনপ্রিয়তা’কে প্রাধান্য দিয়ে মনোনয়ন দেয়া হবে – এমন ধারনাই দিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাসিম।

সুত্রমতে,  বিএনপি ও সমমনা জোটকে মাথায় রেখেই মনোনয়ন দেয়া হবে চট্টগ্রামে। ষোল আসনের তিনটি আসন আওয়ামী লীগের সমমনাদের ছেড়ে দেয়া হতে পারে। তবে সেটি নির্ভর করবে জোটবদ্ধ নির্বাচনের  উপর। 

সুত্রমতে,  চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন,  সিনিয়র সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক  আমিনুল ইসলাম আমিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  গিয়াস উদ্দিন – এবার চমক দেখাতে পারেন। রীতি অনুযায়ী  তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী সমন্বয়ে আসন ভিত্তিক  ‘ সাংগঠনিক প্রতিবেদন ‘ তৈরি করা হয়েছে। সমালোচনা ও নেতিবাচক প্রচারের কারণে কপাল পুড়তে পারে বর্তমান সংসদ সদস্যদের কারো কারো। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাওয়া পাওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে মনোনয়ন দেবার ক্ষেত্রে।   

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী তিন দিন বসবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা। এই তিন দিনেই সারা দেশে নিজেদের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবে দলটি৷ আর যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন ঘোষণা হতে পারে ২৬ বা ২৭ শে নভেম্বর।

১৯ নভেম্বর শুরু হয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বিক্রি শেষ হয়েছে ২১ নভেম্বর। তিন দিনে ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে দলটি৷ এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১৬টি আসনের বিপরীতে ২১৯ জন ২৩২টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন৷ এতে আসন প্রতি ফরম বিক্রি হয়েছে ১৪টির বেশি। এর মাধ্যমে দলটির আয় হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। যা মনোনয়নপত্র বিক্রি করে দলটির মোট আয়ের প্রায় ৭ শতাংশ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার ৬৬১টি মনোনয়নপত্র কম বিক্রি হলেও চট্টগ্রামে বেড়েছে এই সংখ্যা। জেলায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছিল ২২৫টি। সে তুলনায় এবার চট্টগ্রামে মনোনয়নপত্র বিক্রি বেড়েছে ৭টি।

চট্টগ্রাম-৮

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে সবচেয়ে বেশি ২৮টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও  ) আসনে। এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদের পাশাপাশি  আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালামসহ ২৭ জন মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন।  তাদের মধ্যে সিটি করপোরেশনের একাধিক কাউন্সিলরও রয়েছেন।

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যরা হলেন মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোবারক আলী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এস এম নুরুল ইসলাম, এস এম কফিল উদ্দিন, বিজয় কুমার চৌধুরী, এটি এম আলী রিয়াজ খান, জিনাত শাহেনা চৌধুরী, মোহাম্মদ ইমরান, জাবেদুল আলম মাসুদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ খুরশেদ আলম, মোহাম্মদ মনসুর আলম, মো. আব্দুল কাদের, কফিল উদ্দিন খান, শেখ আমেনা খাতুন, এম এ সুফিয়ান সিকদার, আশেক রসুল খান, মো. নুরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ আবু তাহের, মাহমদ দিদারুল আলম, মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সেলিনা খান।

চট্টগ্রাম-২

জেলায় সবচেয়ে কম, মাত্র ২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী। 

বাকি আসনগুলোর মধ্যে ১০টির কম মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবং চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে।

চট্টগ্রাম-১

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের আসন হিসেবে পরিচিত হলেও এবার তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। তবে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবীদের পরিবার থেকে তার ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ না করায় মনোনয়ন দৌড়ে গিয়াস উদ্দিনকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই।

এই আসনে মাহবুব উর রহমান ছাড়াও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আরও চারজন। তারা হলেন- যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মোহাম্মদ মোস্তফা।

চট্টগ্রাম-৬

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান এমপি ফজলে করিম চৌধুরীসহ মনোনয়ন কিনেছেন ৯ জন। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে ফজলে করিম চৌধুরীর ভয়ের কারণ হতে পারেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন কিংবা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশীষ পালিত।

এর বাইরেও এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম, ইমরানুল কবীর, মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং বকতিয়ার উদ্দিন খান।

চট্টগ্রাম-১৩

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনেও অনেকটা নির্ভার রয়েছেন বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে তার সঙ্গে লড়াই করবেন আরও দুজন। তারা হলেন শাহজাদা মহিউদ্দিন এবং সমীরন নাথ।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে বেশি হ্যাভিওয়েট প্রার্থী চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী) ও চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে। এই তিন আসনের তিনটিতেই মনোনয়ন চান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন হ্যাভিওয়েট প্রার্থী সাবেক নগর প্রশাসক ও চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী সুজন।

চট্টগ্রাম-৯

চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন চান এই আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষও এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান।

চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ইফতেখার সাইমুনও নৌকার মাঝি হতে চান চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে৷

এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এই আসন থেকে অন্যান্যদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মোহাম্মদ শহীদ উল আলম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, শফিক আদনান, মোহাম্মদ সফর আলী, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, আমিনুল হক, শাহজাদা মোহাম্মদ ফজল মুকিম নীল, মোহাম্মদ রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১০

চট্টগ্রাম-১০ আসনে নাছির-সুজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ১৭ জন।

তারা হলেন- সৈয়দ মাহমুদুল হক, মোহাম্মদ ইউনুস, কেবিএম শাহজাহান, দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ শফর আলী, মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম, এরশাদুল আমিন, আবুল ফজল কবির আহমেদ, আসলাম হোসেন, সাইফুদ্দিন খালেদ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বাবর, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, মুহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, আব্দুস সবুর লিটন, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং মোহাম্মদ ফয়সাল আমিন।

চট্টগ্রাম-১১

চট্টগ্রাম-১১ আসনে নাছির-সুজনের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ ২৭ জন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের পর সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে এই আসনে।

বন্দরের কারণে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আরও যারা নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন- দেবাশীষ পাল, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, রেখা আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল, সৌগাতুল আনোয়ার খান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সফর আলী, জিয়াউল হক সুমন, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নওশেদ সরোয়ার, সালেহ আহমদ চৌধুরী, আকবর হোসেন, এম এনামুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, ইকবাল আলী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ইমরান ফাহিম নূর, সায়রা বানু, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মহম্মদ আমিনুল হক এবং মুজাফফর আহম্মদ।

চট্টগ্রাম-২

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে হাতছাড়া থাকা চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটি ফিরে পেতে এবার মরিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এই আসনে দলটির হ্যাভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ আছেন সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।

এই আসনে নৌকার টিকেট চান আরও ১৯ জন। তার হলেন- মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম নওশের আলী সাবরিনা চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান, সাদাত আনোয়ার সাদী, বেলাল মোহাম্মদ নূরী, হাসিবুন সোহাদ, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, খোরশেদ আহমেদ জুয়েল, কাজী মোহাম্মদ তানজিবুল আলম, মো. সালামাত আল্লাহ চৌধুরী, এম আর আজিম, সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ হারুন, তৌহিদ মোহাম্মদ ফয়সাল কামাল, হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফখরুল আনোয়ার, সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা এবং আনোয়ার হোসেন।

চট্টগ্রাম-৩

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে ১২ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা৷

অন্যান্য যারা এই আসেন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মানিক মিয়া তালুকদার, মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, মোহাম্মদ রাজিবুল আহসান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউসুফ আলী জীবন, রফিকুল ইসলাম, রুমানা নাসরিন, সরোয়ার হাসান জামিল এবং মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৪

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চসিকের ৯-১০ নং ওয়ার্ড) আসনে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম।

তবে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, চসিক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জুও মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। 

এই আসন থেকে নৈকার মাঝি হতে চাওয়া অন্যরা হলেন- এসএম আল মামুন, রত্নেন্দু ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, মোহাম্মদ পারভেজ উদ্দিন, মহি উদ্দিন, আবু মনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী এবং চৌধুরী মোহম্মদ জিন্নাত আলী।

চট্টগ্রাম-৫

চট্টগ্রাম-২ আসনের মত দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনটি মহাজোটের শরীক দলের দখলে। এই আসন থেকে এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান ১৩ জন।

এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলকে নৌকার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আসনটি এবার মহাজোটের শরীক দলের হাতে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এই আসনে অন্য যারা নৌকার প্রার্থী হতে চান তারা হলেন- মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন, মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামীম, ইউনুস গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, মনজুর আলম চৌধুরী, মাসুদুল আলম, নাসির হায়দার করিম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, ডাক্তার নুর উদ্দিন জাহেদ এবং বাসন্তী প্রভা পালিত।

চট্টগ্রাম-১২

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনটি হুইফ শামসুল হক চৌধুরীর আসন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার শামসুল হক চৌধুরীর সামনে বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ বদিউল আলমও এগিয়ে আছেন মনোনয়ন দৌড়ে।

এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান আরও ১৪ জন। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা বেগম, সত্যজিৎ দাস রুপু, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, জুলকারনাইন চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, আলাউদ্দিন মো. আব্দুল ওয়াদুদ, তসলিম উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ ইসহাক, আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী, প্রদীপ কুমার দাস, মোহাম্মদ হাবিবুল হক চৌধুরী, রাশেদ মনোয়ার, মুহাম্মদ ফারুক এবং মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৪

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পাশাপাশি নৌকার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ ১৭ জন। তবে এই আসনে অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তুলনায় হ্যাভিওয়েট হওয়ায় অনেকটাই এগিয়ে মফিজুর রহমান  ।

আসনটিতে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মোহাম্মদ কায়কোবাদ ওসমানী, আফতাব মাহমুদ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এম মাসুদ আলম চৌধুরী, সাহিদা আক্তার জাহান, আবু আহমেদ চৌধুরী, আবুল বশর ভূঁইয়া, মামুনুল হক চৌধুরী, মাহবুবু রহমান এবং মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম-১৫

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে ফের মনোনয়ন চান দুই বারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন। তবে তার সাম্প্রতিক নানা কর্মকাণ্ডে দলীয় হাইকমান্ড কিছুটা অসন্তোষ হওয়ায় মনোনয়ন দৌড়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম এগিয়ে আছেন। 

এই আসনে নৌকড় হাল ধরতে চান আরও অন্তত ১৩ জন। তারা হলেন- সাজেদা সুরাত, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম মামুন, আব্দুল মোতালেব, মোহাম্মদ আমানুল্লাহ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন হাসান চৌধুরী, আ স ম মিনহাজুর রহমান, মহম্মদ এরশাদুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ অহিদ সিরাজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, কামরুন নাহার এবং মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১৬

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে এবার। এই আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। 

এ দুজন ছাড়াও আরও অন্তত ১৩ জন নৌকার হাল ধরতে চান এই আসনে। তারা হলেন- মোহাম্মদ জমির উদ্দিন শিকদার, আব্দুল্লাহ কবীর, চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদী, আরেফ উল হক, মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, মো. সাইদুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, নাজমা আক্তার, শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী শামস, শেখর দত্ত, সাইফুদ্দিন আহমেদ ববি, আবুল হোসেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং আবু নছর মোহাম্মদ সরওয়ার আলম।

এদিকে,  নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে। তাই এর আগেই চূড়ান্ত করতে হবে দলীয় মনোনয়ন।

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর