25.2 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

চট্টগ্রামে বাসে আগুন দেবার পর বিএনপি কার্যালয় ভাঙার চেষ্টা

আরও পড়ুন

তানভীর আহমেদ :::

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর বুধবার রাতে চট্টগ্রামের  কোতোয়ালী থানাধীন জমিয়াতুল ফালাহ গেটের সামনে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের নিচে পার্কিং করে রাখা দুটি লোকাল বাসে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ যুবলীগ ছাত্রলীগের কর্মীরা রাত বারোটার দিকে  মিছিল সহকারে নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনে ঢুকার চেষ্টা করে।

বাসে আগুন দেবার পর পরই চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্দেশনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মিরা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে নগরীর লালখান বাজার মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ওয়াসার মোড়, আলমাস সিনেমা হল, কাজীর দেউরি মোড় হয়ে নূর মোহাম্মদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কার্যালয় হয়ে লালখান বাজার মহিউদ্দিন বাচ্চুর রাজনৈতিক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের অবরোধ ও বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘বিএনপির নেতারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ছাত্রদলের গুণ্ডারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘জামায়াত-শিবির-রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। তা ছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে থেকে বিএনপির কয়েকটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম শামীম  বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদল এবং তাদের অনুসারীরা এসব আগুন-সন্ত্রাস করছে। বিএনপি জনসম্পৃক্ততা হারিয়ে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, আওয়ামী লীগের মিছিলের পর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে কিছু লোকজন এসে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই সময় পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপির কিছু ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।

এদিকে, বুধবার নগরের দেওয়ানবাজার এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও বাঁশ ফেলে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরির ঘটনায় মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সৌরভ প্রিয় পাল,  কোতোয়ালি থানা  ছাত্রদলের সভাপতি রিমনসহ আটজনের নামউল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসআই ইনরানুস সাজ্জাদ বাদি হয়ে করা এই মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর