Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img

সৈয়দপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাশীরাম বেলপুকুর শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মরিয়ম নেছা-র বিরুদ্ধে অনিয়ম...
Homeজাতীয়ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সেমিনারে সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবী

ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সেমিনারে সরকারের কাছে ১৩ দফা দাবী

বিশেষ প্রতিনিধি :

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ, উচ্চ মাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে করণীয় শীর্ষক’ জাতীয় সেমিনার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৫ শে অক্টোবর ২০২৫ ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ড. এ.কে.এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবু হানিফ খানের পরিচালনায় এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার ভিসি প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর। তিনি বিশেষ কাজে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারায় রেকর্ড করা বক্তব্য পাঠান। রেকর্ড করা বক্তব্যে তিনি বলেন, সর্বস্তর থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে। বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে সব বৈষম্য দূর করতে হবে। মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা একটি শিশুর জম্মগত ও সাংবিধানিক অধিকার। রাষ্ট্রকে এই অধিকার দেয়া অপরিহার্য।

সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ছয়টি করে বিষয় পড়ানো হয়। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠ্যবই নেই কিন্তু সংগীত, শিল্পকলা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ক্লাস নেওয়া হয়। পাঠ্য বই বিহীন প্রত্যেকটি বিষয়ে সপ্তাহে একটি ক্লাস নেওয়া হয় এবং শিক্ষক নিয়োগের জন্য নীতিমালা তৈরী করা হয়েছে। অথচ ইসলাম শিক্ষা বই থাকলেও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কোনো পদ সৃষ্টি করা হয়নি। মুসলিম প্রধান দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়।
এ ছাড়াও বক্তারা ইসলামী শিক্ষার সমূহ সংকট ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তারা আরো বলেন ,ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ আয়োজিত আজকের জাতীয় সেমিনার থেকে আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি গানের শিক্ষক নয়; সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ সংশোধন করে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের পদ সৃষ্টি করুন। অন্যথায়, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও তৌহিদী জনতা আন্দোলনে মাঠে নামলে তার ফল মোটেই সুখকর হবে না।

উক্ত সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া মাদ্রাসা ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন,শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী,প্রফেসর মাওলানা মুহাম্মদ ওবায়দুল হক অধ্যক্ষ, মাদরাসা ই আলিয়া, ঢাকা, মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, আশরাফ আলী আকন, প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আবু হানিফ খান, প্রফেসর ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ড. মোহাম্মদ রুহুল আমিনয়। ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, প্রফেসর ডক্টর শাহ মুহাম্মাদ আব্দুর রাহীম,অধ্যাপক মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন,অধ্যক্ষ এস এম আব্দুল হামিদ,আনম মাহবুবুর রহমান, মাওলানা কবি মুহিববুল্লাহ জামী, অধ্যক্ষ মুফতি, মাওলানা মোহাম্মদ মুজির উদ্দীন, আজম সাখাওয়াত হোসেন,মাওলানা আ ন ম মাসউদ হোসাইন আল-কাদেরী,মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দিন ,ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম মারুফ আল-মাদানী ,অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস আল-মাদানী ,মাওলানা আ খ ম আবু বকর সিদ্দিক অধ্যক্ষ, দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা,ড. মোঃ শহিদুল হক,অধ্যক্ষ মাওলানা ইজহারুল হক মাওলানা বদিউল আলম সরকার, মাওলানা মুহাম্মদ মজির উদ্দিন ,অধ্যক্ষ, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, তেজগাঁও, ঢাকা,মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আবু হানিফ,ড.লোকমান হাকীম,মাওলানা মোরশেদ আলম সালেহী প্রমূখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া সাংগঠনিক সম্পাদক, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ।

ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি যে সকল দাবী জানানো সেগুলো হচ্ছে-
১. সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে,
২. উচ্চ মাধ্যমিকের সকল শাখায় ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূ-লক করতে হবে,
৩. ১০৮৯ টি তালিকাভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে অনতিবিলম্বে এমপিওভুক্ত করতে হবে। পর্যায়ক্রমে মঞ্জুরীপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসমূহকে এমপিও ভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. ফাযিল অনার্স ও মাস্টার্স স্তরের জন্য শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিও ভুক্ত করতে হবে।
৫. বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারীগণকে সরকারী চাকুরী জীবিদের সমপরিমাণ ভাতা দিতে হবে।
৬. দেশের অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার উন্নয়নে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।দীর্ঘ ৬০ বছরেও উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
৭. মহামান্য হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী অবসর প্রাপ্তদের অবসর ও কল্যাণ ভাতা অবসরের ৬ মাসের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
৮. সকল প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান, সরকারি উচ্চতর প্রশিক্ষণ, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য প্রযুক্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রতিটি বিভাগে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে ‘হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সকল কলেজে ইসলামিয়াত ও আরবি বিষয় অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি দিতে হবে।
১০. মাদ্রাসার স্বকীয়তা ও যোগ্য আলেম তৈরীর লক্ষ্যে মাদ্রাসা পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তথা এনসিটিবিএ-ম(NCTBM) গঠন করতে হবে।
১১.মাদ্রাসার এমফিল ও ডক্টরেট ডিগ্রিধারীগনের জন্য ইনক্রিমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. মাদ্রাসা শিক্ষা উন্নয়নে প্রতি উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষা অফিসার, জেলা পর্যায়ে মাদরাসা জেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ করতে হবে।
১৩. মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে অবাধ প্রবেশের লক্ষ্যে শিক্ষার সকল স্তর ও বিভাগে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

এই বাংলা/এমএস

টপিক