25.6 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

বন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় জাতিসংঘ

আরও পড়ুন

বিশেষ প্রতিনিধি ::

দূর্নীতি মামলায়  কারাদন্ড পাওয়া বিএনপির চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ।  সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে বিদেশে জরুরি চিকিৎসার জন্য বন্দী  খালেদা জিয়ার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন ভলকার টুর্ক।

চিঠিতে ভলকার টুর্ক বলেন, ‘আমি তাঁকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আপনার (শেখ হাসিনা) সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই; যাতে তিনি দেশের বাইরে জরুরি ও বিশেষ চিকিৎসা করাতে পারেন।’

করোনা মহামারির ভেতর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার পর কারাগার থেকে তিনি নিজের বাসায় রয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে,  সরকারের তরফ থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের কথা বলা হলেও তাকে বন্দী হিসেবেই আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। 

ভলকার টুর্কের ওই চিঠিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি দুই পক্ষের রাজনৈতিক সংলাপ ও সমঝোতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের  অবৈধভাবে বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে  আটক করা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ভলকার টুর্ক।

এভাবে আটক করা হলে তা সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মন্তব্য করেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে তৎকালীন সেনাসমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট  মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।এই মামলাতেই সাজা পেয়ে প্রথমবারের মতো দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে কারাগারে যেতে হয় খালেদা জিয়াকে।তবে এর আগে তাকে অন্তরীণ হতে হয়েছিল রাজনৈতিক কারণে।২০১৮ সালের  ৮ই ফেব্রুয়ারি পুরনো ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক তাঁর রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।রায়ে অসন্তষ্ট দুর্নীতি দমন কমিশন উচ্চ আদালতে আপিল করলে তাঁর সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করে আদালত।একই বছর ৩০ অক্টোবর জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে বিচারিক আদালত।সব মিলিয়ে খালেদা জিয়া ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কমপক্ষে ৩৪টি মামলা চলমান রয়েছে।

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর