হাটহাজারী প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি মহাসড়কের চারিয়া এলাকায় বাস সিএনজি ও কারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সিএনজির যাত্রী। পটিয়া থেকে ফটিকছড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাবার পথে পুরো পরিবারের প্রাণ যায়। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনায় চারজন শিশুও ঘটনাস্থলে প্রাণ হারিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন পুরুষ ও তিনটি শিশু।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, একটি কার পেছন থেকে যাত্রীবাহী সিএনজিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি গতি হারিয়ে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পড়ে। চলন্ত বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মুহুর্তেই দুমড়ে মুচড়ে যায় ফটিকছড়িগামী সিএনজিটি।
আহত যাত্রী মোবাইল ফোন থেকে কল পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলেই সাতজনের লাশ উদ্ধার করে হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। আহত আরো দুজনের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, আহতদের একজন ফায়ার সার্ভিকে কল দিলে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৭ জনের লাশ উদ্ধার করেন তারা।
নিহতরা হলেন চন্দনাইশ উপজেলার ২নং জোয়ারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদপুর এলাকার দুলাল মাষ্টার বাড়ীর বিপ্লব (২৭), বাপ্পা (৩২), রিতা (৪০), শ্রাবন্তী (১৮), বর্ষা (১০), দ্বীপ (০৩), দিগন্ত (০৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, আজ পৌনে ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার নাজিরহাট থেকে চট্টগ্রাম শহরমুখী একটি বাস ও বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে সাতজন মারা যান। তিনজন শিশু, তিনজন নারী অপরজন পুরুষ। আহত তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ‘
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিহতরা সবাই পটিয়া থেকে ফটিকছড়িতে আত্মীয়র শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।
হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, চারিয়াতে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিনে আসছি। রাস্তা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ।
এদিকে একসাথে সাতজন নিহত হবার ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বুকফাটা কান্নায় পুরো এলাকা ভারি হয়ে উঠে।
পরিবারের সদস্যরা জানান৷ সবাই মিলে রীতা দাশের বাপের বাড়ি শ্রাদ্ধে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সাতজনের মৃত্যুর এই ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম। ‘