তানভীর আহমেদ ::
চট্টগ্রামের ব্যস্ততম এলাকা অলংকার একখান মোড়ে পুলিশ বক্সে যোগ দিয়েই স্থানীয় আবাসিক হোটেল, পরিবহন মালিক, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি মিশনে ব্যতিব্যস্ত রয়েছেন আইসি এসআই মনির। অবরোধের সময় আবাসিক হোটেল উঠে মনিরের রোষানলে পড়েন তিন দম্পতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নোয়াখালী বসুরখাট এলাকা থেকে মৃদুল কান্তি ভৌমিক একে খানের হোটেল সিলভার প্যালেসে উঠেন ৩রা নভেম্বর রাত একটায়। হোটেলের ৩০৬ নং রুমে উঠেন স্ত্রী শান্তা ভৌমিককে নিয়ে।কুমিল্লা নাঙ্গলকোট থেকে মজিদ মিয়া ও শারমিন নামের আরেক দম্পতি উঠেন একই হোটেলে৷ ২রা নভেম্বর সকাল দশটায় হোটেলে ডুকে ৩০৪ নং রুমে অবস্থান করছিলেন।
হোটেলটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় অন্তিক চৌধুরী ও পূর্নিমা সেন খাগড়াছড়ির আব্দুলনগর থেকে ২রা নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪ টা ২৬ মিনিটে হোটেল প্রবেশ করার সময় নিজেদের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রিসিপশন ডেস্কে কথা বলছেন। হোটেল ম্যানেজার তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে রুম বুকিং দেন।
রাত একটার সময় অলংকার পুলিশ বক্সের এসআই মনির উদ্দিন গিয়ে তিনটি পরিবারকে ধরে নিয়ে যায় পাহাড়তলী থানায়। এসময় সিভিল পোষাকে আরও তিন ব্যক্তি হোটেলে ডুকেন।
চালান করে দেবার ভয় দেখিয়ে মৃদুল ক্লান্তি থেকে বিশহাজার, মজিদ মিয়া থেকে দশহাজার, অন্তিক চৌধুরী থেকে দশহাজার টাকা আদায় করেন এসআই মনির।
অন্তিক চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার থেকে এসে যাত্রাপথে হোটেলে উঠে পুলিশের চাঁদাবাজির মুখোমুখি হই। খাগড়াছড়ি ফেরার পূর্বে এমন হয়রানির
এসআই এসে তিনটি পরিবারকে একই রুমে নিয়ে গিয়ে ভিডিও ধারণ করেছেন। ভয়ভীতি দেখানোর কারণে টাকা দিতে বাধ্য হই। কিন্তু তিনি আমাদেরকে না ছেড়ে স্থানীয় থানায় সোপর্দ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত দুইটার সময় এসআই মনির হোটেলটির মালিককে ওয়ার্ডসআপে ( ০১৮১৩-৮০১২৯৮) ফোন দিয়ে পুলিশ বক্সে যোগাযোগ করতে বলেন৷ নিয়মিত মাসোহারা না দিলে প্রতিদিন হোটেলটিতে অভিযানের হুমকি দেন।