মিরসরাই প্রতিনিধি :::
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে ছাত্রলীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় কিশোর রুমন (১৬) নিহত হয় ;আরও ২০ জন আহত এই ঘটনায়।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে জাহেদ হোসেন রুমন (১৬) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর মৃত্যু হয়। তার বাবা মৃত নুরের জামান। এসময় উভয়পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দুই দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার আলমগীর জানান, আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চকে কেন্দ্র করে মিরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে । সেই জন্যই শুক্রবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আমিন উপজেলার ৫ নম্বর ওসমানপুর ইউনিয়ন এলাকায় একটি সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় বিএনপি কর্মী রুমনের মৃত্যু হয়েছে। তার দাদাসহ পরিবারের সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ‘
উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু বলেন, সংঘর্ষে ছাত্রলীগে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। নিহত কিশোরও ছাত্রলীগের কর্মী। এসময় ওসমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, মিরাজ, জাহেদ হোসেন রুমন, আরেফিন ও রাফিসহ ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ‘
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দাবি শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্থানীয় ওসমানপুর ইউনিয়ন এলাকার আজমপুর বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এদিকে, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিনুল ইসলাম স্বপন দাবি করেন, আগামী ৫ অক্টোবরের কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।
মিরসরাই বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন, হামলার পরপরই বিএনপির সংক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের বিরোদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেছিলেন।
এদিকে ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতাকে হাসান ও তার কয়েকজন সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। এসময় জাহেদ হোসেন রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।’
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে শাহ্ আলম বলেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।’
জোরারগঞ্জ থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন সন্ধ্যায় জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ । মামলা দায়ের করার বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাতে পারবো। ‘