গোপাল হালদার, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালীতে ৭১ হাজার মেট্রিকটনের বেশি ইলিশ আহরণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। এছাড়া অনান্য সামুদ্রিক মাছ ও দেশীয় মাছ মিলিয়ে বাৎসরিক ১ লক্ষ ২৬ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক ৪৬০ প্রজাতির মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধারার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ফলে এবারও জেলায় বাৎসরিক ১ লক্ষ ২৬ হাজার মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হবে। উৎপাদিত মাছের মধ্যে ইলিশ ৭১ হাজার মেট্রিকটন এবং বাকি গুলো নদনদীর জলাশয় ও পুকুরের মাছ। এরমধ্যে পটুয়াখালী জেলার মাছের চাহিদা ৩৫ হাজার ২৯৫ মেট্রিক টন। জেলার চাহিদা পূরণ করে ৯০ হাজার ৭০৫ মেট্রিক টন অন্যান্য জেলায় বিক্রি করা হয়।
গত রাত ও সকালে সাগরে প্রবেশ করেছে পটুয়াখালীর জেলেরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও জেলের জালে কাঙ্খিত মাছের দেখা মিলবে এবং ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন আগামী সাতদিন ব্যাপী “নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” স্লোগানে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত হবে। সপ্তাহ জুড়ে নানান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মাছের পোনা অবমুক্ত, সচেতনতামূলক র্যালী, আলোচনা সভা, জেলেদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন বানৌজা শেরেবাংলা নৌঘাঁটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ওমর ফারুক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক, পুলিশ পরিদর্শক দেওয়ান জগলুল হাসান, কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, নৌ পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক রকিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জেরিন সুলতানা তৃষা।
এসময় পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক ও মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইবাংলা/প্রিন্স আচার্য্য/সিপি
