Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

― Advertisement ―

spot_img

আসন্ন নির্বাচনে সিদ্ধান্তহীন এস. এ. কে. একরামুজ্জামান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাবেক বিএনপি নেতা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক এস. এ. কে. একরামুজ্জামান বলেছেন,...
Homeরাজনীতিসালাউদ্দিন আহমেদ এর অবিচল রাজনৈতিক পরিক্রমা ও বাংলাদেশের নতুন ডেমোক্র্যাটিক স্বপ্ন

সালাউদ্দিন আহমেদ এর অবিচল রাজনৈতিক পরিক্রমা ও বাংলাদেশের নতুন ডেমোক্র্যাটিক স্বপ্ন

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বহু নাম আসে, বহু মুখ ম্লান হয়ে যায়। কিন্তু সময়ের গর্ভে এমন কিছু মানুষ জন্ম নেন যাদের চিন্তা, কর্মধারা ও মূল্যবোধ কেবল রাজনীতির মাঠে নয়, একটি জাতির আত্মার পরিধিতেও আলো ছড়িয়ে দেয়।

দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

সালাউদ্দিন আহমেদ এমন এক নাম, যিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ, দলীয় গোঁড়ামি ও রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য এক নতুন ডেমোক্রেটিক স্বপ্নের ভিত্তি স্থাপন করেছেন — যা আগামী বাংলাদেশের এক অনন্য সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে।

অতীতের সংকট থেকে নতুন রাজনীতির জন্ম:

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, দলে দলে বিভাজন, এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাবে এক গভীর রাজনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত ছিল। এই অচলাবস্থায় অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন—রাজনীতি যেন এক প্রতারণার খেলা, ক্ষমতার ব্যবসা। কিন্তু সালাউদ্দিন আহমেদ সেই হতাশার মধ্যেই একটি নতুন রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করেছেন—
“মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ রাজনীতি” বা Human-Centered Democracy।

তিনি উপলব্ধি করেছেন, আধুনিক বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অর্থ কেবল ভোট নয়, বরং বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতা, নৈতিক নেতৃত্ব ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন। এই দর্শন থেকেই জন্ম নেয় তার “ইউনিক ডেমোক্রেটিক ভিশন”—যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিটি মানুষ শুধু ভোটার নয়, বরং একটি মূল্যবান অংশীদার।

সালাউদ্দিন আহমেদের রাজনৈতিক দর্শন: “নীতি, ন্যায্যতা ও নৈতিকতা”

সালাউদ্দিন আহমেদের রাজনীতি তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে – নীতি, ন্যায্যতা, এবং নৈতিকতা।

তিনি মনে করেন, কোনো সমাজে গণতন্ত্রের সাফল্য কেবল রাজনৈতিক কাঠামোতে নয়, বরং মানুষের চেতনায় নিহিত। তাই তার লক্ষ্য ছিল এমন এক “জনচেতনার বিপ্লব”, যেখানে প্রতিটি নাগরিক নিজের দায়িত্ব, অধিকার ও কর্তব্যের ভারসাম্য রক্ষা করবে।

তার রাজনৈতিক দর্শন তাই কেবল স্লোগানে সীমাবদ্ধ নয়—এটি একটি নৈতিক আন্দোলন। এই আন্দোলনের মূলমন্ত্র,

“রাজনীতি হবে সেবার অঙ্গন, ক্ষমতার নয়: নেতৃত্ব হবে দায়িত্বের প্রতীক, সুবিধার নয়।”

  • ইউনিক ডেমোক্রেটিক স্বপ্ন:

আগামী বাংলাদেশের রূপরেখা

সালাউদ্দিন আহমেদ যেই “ইউনিক ডেমোক্রেটিক” স্বপ্নের কথা বলেন, তা মূলত একটি পলিসি-ভিত্তিক সিস্টেম – যেখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক নেতৃত্বের পরিবর্তে ইনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেসি বা প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র গড়ে ওঠে।

এই স্বপ্নের পাঁচটি প্রধান দিক হলো:

  • নৈতিক প্রশাসন — দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকারি কাঠামো।
  • স্মার্ট শিক্ষা ও নৈতিক প্রযুক্তি — এমন শিক্ষা ব্যবস্থা যা দক্ষতার পাশাপাশি মূল্যবোধ শেখায়।
  • অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব — “Inclusive Growth” যেখানে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে সরাসরি অংশ নেয়।
  • সচেতন নাগরিক সংস্কৃতি — যেখানে নাগরিকরা প্রশ্ন করে, বিশ্লেষণ করে এবং নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
  • বিশ্বের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক — উন্নয়ন নয়, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার ভিত্তিতে কূটনীতি।
    নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে এক আলোকবর্তিকা

আজকের তরুণ সমাজ রাজনীতিকে দেখে সন্দেহের চোখে। কিন্তু সালাউদ্দিন আহমেদের নীতি ও দর্শন তরুণদের জন্য নতুন এক প্রেরণা হয়ে উঠেছে। তিনি বিশ্বাস করেন,

“রাজনীতি তখনই পবিত্র হয়, যখন তা তরুণের অন্তরে নৈতিক আগুন জ্বালায়।”
তার উদ্যোগে গড়ে ওঠা ‘নৈতিক নেতৃত্ব গড়ো’ কর্মসূচি, ডেমোক্রেটিক লিডারশিপ একাডেমি, এবং জনপ্রশাসন পুনর্গঠন ফোরাম আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্ব-তৈরির নতুন স্কুল হয়ে উঠছে। এখানেই তিনি ভবিষ্যতের রাজনীতিকে দলনির্ভরতা থেকে চিন্তা-নির্ভরতায় রূপ দিতে চাইছেন।

আগামী বাংলাদেশের হাতছানি:

“আগামী বাংলাদেশ” বলতে সালাউদ্দিন আহমেদ বোঝান এক নৈতিক, সুশাসিত ও মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে রাজনীতি কেবল নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া নয়, বরং এক আধ্যাত্মিক দায়িত্ববোধের যাত্রা।
তার স্বপ্নের বাংলাদেশে —

দুর্নীতি নয়, সততা হবে উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি,
দল নয়, নীতি হবে পরিচয়ের মানদণ্ড,
মানুষ নয়, মূল্যবোধ হবে শ্রেষ্ঠতম সম্পদ।
তিনি বারবার বলেছেন—
“বাংলাদেশ একদিন ইউনিক হবে—অর্থনৈতিক শক্তিতে নয়, নৈতিক শক্তিতে।”

সালাউদ্দিন আহমেদ আমাদের শেখান, রাজনীতি কেবল ক্ষমতার অঙ্ক নয়; এটি সময়, ত্যাগ, এবং চেতনার সংমিশ্রণ। তিনি এমন এক “ইউনিক ডেমোক্রেটিক স্বপ্ন” দেখিয়েছেন, যা বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে এক নতুন রাজনৈতিক সভ্যতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

আজকের এই যুগান্তকারী সময়ের প্রেক্ষাপটে, সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্ব ও দর্শন আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
“যে রাজনীতি মানুষের আত্মাকে জাগায়, সেই রাজনীতিই আগামী বাংলাদেশের প্রকৃত সূচনা।

এই বাংলা/এমএস

টপিক