শাহীন আহমেদ,নীলফামারীঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দুলাভাই বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মুক্তারুল আলম। ইউনিয়নের চিড়াভিজা গোলনা বড় জুম্মাপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘ওই কিশোরীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। বিয়েতে রাজি ছিলেন না মেয়েটির দুলাভাই বেলাল হোসেন। এরপরও বিয়ের আলোচনা চলায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন গত রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরিবারের লোকজন বাহিরে অবস্থান করায় বেলাল মেয়েটিকে বাড়ির পেছনে ডাক দেন। মেয়েটি বাড়ির পেছনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বেলাল। পরে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরীর গলা ও গাল কেটে দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মুক্তারুল আলম বলেন, মেয়েটাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার গাল কাটা হয়। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তার দুলাভাই বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামী স্বেচ্ছায় ফৌঃকাঃবি-১৬৪ ধারা মতে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
এইবাংলা/প্রিন্স আচার্য্য/সিপি