25.3 C
Dhaka
Thursday, October 2, 2025

শ্যামলীতে অগ্নিকান্ডে উদ্ধার হওয়া মরদেহ এক প্রকৌশলীর

আরও পড়ুন

::: নিজস্ব প্রতিবেদক :::

রাজধানীর শ্যামলী এলাকার বহুতল ভবন রূপায়ণ শেলফোর্ডে লাগা আগুনে ভবন থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মিলেছে। ১৯ তলা থেকে উদ্ধার করা মরদেহটি রাশেদুজ্জামান নামের এক প্রকৌশলীর। গতকাল রাত ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের  ১৩টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ২টা চার মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি ভবনের ১৯ তলাতে থাকা ডাটা সফট নামের একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে জানা গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গতকাল লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় লাশ আসেনি বলে জানা যায়।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ  বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডাকলাইন থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। ডাকলাইনে সাধারণত শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের ঘটনাগুলো হয়। নিচতলা থেকে শুরু করে সব জায়গায় ছিল। কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ডাকলাইনটি নিচতলা থেকে শুরু করে ২০ তলা পর্যন্ত বিস্তৃত। আমরা ভবনের ১৯ তলায় বেশি আগুন পেয়েছি।’

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি ধোঁয়ার ব্যাপকতার কারণেই মারা গেছেন বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সব ধরনের চেষ্টা করেছি তাঁকে বাঁচাতে। তাঁকে উনিশ তলায় পড়ে থাকতে দেখি। ভবন সার্চ করতে গিয়ে তাঁকে আমরা পাই। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য এক্সটিংউইসারগুলো কাজ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ওয়াটার রিজার্ভার থাকলেও রিজার্ভ ট্যাংকি থেকে পানি উত্তোলনের পয়েন্ট ছিল না। যেসব পয়েন্ট পাওয়া গেছে সেগুলো সবগুলোই ইনএকটিভ ছিল। এই ভবনটিতে সেফটি প্ল্যান ছিল কিনা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে সেফটি প্ল্যান থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এইবাংলা/ তুহিন

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর