মাহফুজুল হক পিয়াস, ইবি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যার দ্রুত বিচার ও ছাত্রসংসদ নীতিমালা প্রণয়নসহ পাঁচ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রশিবির। এসময় আগামী সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার আল্টিমেটাম দেন তারা।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে পাঁচ দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো—সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার, ছাত্রসংসদের নীতিমালা প্রণয়ন ও রোডম্যাপ ঘোষণা, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু, নির্মাণাধীন হলগুলো চলতি বছরেই উদ্বোধন, মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
মিছিলে তারা, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত, দ্রুত করো, করতে হবে’, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করো,’ ‘হলগুলো চালু করো, ভোগান্তি দূর করো,’ ‘ইকসুর তারিখ ঘোষণা করো,’ ছাত্রসংসদ নিশ্চিত করো,’ ‘বিশ্ব যখন আধুনিক, ইবি কেন যান্ত্রিক,’ ‘ডিজিটাল পেমেন্ট চালু হোক, ভোগান্তি দূর হোক,’ ‘নিয়োগ হবে স্বচ্ছ, শিক্ষক হবে দক্ষ,’ ‘মেধা আর স্বচ্ছতা, নিয়োগে চাই ন্যায্যতা,’ ‘আবু সাইদের বাংলায়, নিয়োগ বাণিজ্যের ঠাই নাই’সহ নানা স্লোগান দেয়।
এসময় সংগঠনের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলী, অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা, দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলিসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শাখা সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, “সাজিদের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি—ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে। প্রশাসনিক জটিলতা ও ভোগান্তি শিক্ষার্থীরা আর মেনে নেবে না।”
সমাবেশে ইবি শাখা শিবিরের সভাপতি মুহা. মাহমুদুল হাসান বলেন, “কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও সাজিদের হত্যাকারীরা এখনো ধরা পড়েনি। এটা প্রশাসন ও ইন্টারিম সরকারের ব্যর্থতা। যদি দ্রুত বিচার না হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রসংসদ গঠনের নীতিমালা নিয়ে প্রশাসনের টালবাহানা চলবে না। জগন্নাথ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে আইন পাস হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
ডিজিটাল পেমেন্ট বিষয়ে শিবির সভাপতি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে মাত্র ২১ দিনেই ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করা সম্ভব। আমরা সাত দিন সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিলে প্রশাসনিক ভবন অচল করা হবে।”
হল নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০১৮ সালে টেন্ডার দেওয়া হলেও এখনো হলগুলো উদ্বোধন হয়নি। এ বছরই সব হল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।”
শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও স্বচ্ছতার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু বিভাগে সাতটি ব্যাচে ক্লাস চলছে, অথচ শিক্ষক মাত্র দুই-তিনজন। সেশনজট নিরসনে দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে, তবে নিয়োগ অবশ্যই মেধা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে হতে হবে।”
এই বাংলা/এমএস
টপিক