পিপিআরসির প্রতিবেদন :
দেশে বাড়ছে দারিদ্র্যের হার। প্রতি ৪ জন মানুষের মধ্যে একজন দরিদ্র। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিপিআরসির প্রতিবেদন বলছে, দুই বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও বাড়েনি আয়। পাশাপাশি, রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি আর কর্মসংস্থানের অভাব। আর এতেই বাড়ছে দারিদ্র্য।
দৈনিক এই বাংলার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস আজ। স্বাধীনতার পরপর ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষই হতদরিদ্র ছিল। গেল ৩ দশকে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে, গত দুই অর্থবছরে তাতে ভাটা পড়ে। কমার বদলে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে অন্তত ৯ শতাংশ।
গবেষণা সংস্থা পিপিআরসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলছে, চলতি বছরের মে মাসে দেশে দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশের কাছাকাছি। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
এছাড়া, অতি দারিদ্র্যের হারও ৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ১৮ শতাংশ মানুষ যেকোনো সময় গরিব হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
হঠাৎ কেন এমন ছন্দপতন? কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্থিতিশীল বাজার, নতুন কর্মসংস্থানের অভাব আর মূল্যস্ফীতি এর মূল কারণ। এমন অবস্থায়, দারিদ্র্য বিমোচনে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি ও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলছেন, ‘ম্যানুফেকচারিং সেক্টরে যদি সুদের হার কমে যায়, সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের শিল্প উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে আমাদের হয়তো আমদানি কম করতে হবে। আর তেমন হলে মূল্যস্ফীতিটা কমবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কিন্তু স্থায়ী সমাধান নয়। স্থায়ী সমাধান হলো, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের তথ্য বলছে, দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে। এ ধরনের দারিদ্র্যের হার শহরের তুলনায় গ্রামে প্রায় দ্বিগুণ।
এই বাংলা/এমএস
টপিক