24.5 C
Dhaka
Friday, October 3, 2025

সদরপুরে গণহত্যায় নিহতরা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি

আরও পড়ুন

::: জাকির হুসাইন ফরিদী, সদরপুর:::

ফরিদপুরের সদরপুরের ১২ জন শহীদ ৭১ এর গণহত্যায় নিহত হলেও স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও তাদের স্বীকৃতি মিলেনি। জানা যায়, পাক-হানাদার বাহিনী ১৯৭১ এর ১৮ মে (৩ জৈষ্ঠ) সোমবার কৃষ্ণপুরে ৯জন ও ১৯ মে (৪ জৈষ্ঠ) সকালে উপজেলার সাড়ে সাতরশি বাজারে আক্রমণ করে ৩ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

গণহত্যায় নিহতরা স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন স্বীকৃতি পায়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধে কৃষ্ণপুরের ৯ শহীদের অবদান সদরপুরবাসী মনে রাখলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে কোন কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। সরকারিভাবে কৃষ্ণপুরে বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করলেও সাড়ে সাতরশি বাজারের বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়নি।

দুইটি স্থানের শহীদ পরিবারগুলো স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও কোন স্বীকৃতি ও অনুদান পায়নি। স্বাধীনতার পর থেকে শহীদ পরিবারগুলো অবহেলিত হয়ে দুঃখ কষ্টের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে।

জানা গেছে, পাক হানাদার বাহিনী ১৮ মে (৩ জৈষ্ঠ) সকালে কৃষ্ণপুর সাহা পাড়ায় স্বাধীনতাকামী হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীপুরুষদের ধরে ধরে অমানুষিক নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করে। স্থানীয়রা তাদের লাশগুলো উদ্ধার করে কৃষ্ণপুর শ্বশান ঘাটে মাটি চাপা দেয়। পরে ২০২০ সালে উক্ত স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। অপরদিকে ১৯ মে (৪ জৈষ্ঠ) সকালে পাক-হানাদার বাহিনী উপজেলার সাড়ে সাতরশি বাজারে আক্রমণ করে ৩ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের নির্মমভাবে হত্যা করে। কৃষ্ণপুরে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা, শহীদ সুবর্ন মিত্র (৩৫), শহীদ মিহির মিত্র (১২), শহীদ কৃষ্ণা দাসী সাহা (৬৫), শহীদ ভূপতি সাহা (৪০), শহীদ ননী সাহা (৪৬), শহীদ হরিপদ সাহা (৭০), শহীদ মলিন শীল (২২), শহীদ অলোক সাহা (১৫), অজ্ঞাত (৩৫)। অপরদিকে সাড়ে সাতরশি বাজারে যারা শহীদ হয়েছিলেন, শহীদ জগদীশ চন্দ্র ভৌমিক, শহীদ কালিপদ সরকার ও বিষ্ণপদ বনিক।

এইবাংলা /তুহিন

- Advertisement -spot_img

সবশেষ খবর